নয়াদিল্লি: করোনার প্রকোপ একটু কাটতেই ভিড় করেছিলেন পুণ্যার্থীরা। কিন্তু কেদারনাথ (Kedarnath Yatra) যাত্রা থেকে লাগাতার মৃত্যুর খবর উঠে আসছে। গত ৩ মে যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৮২ জন পুণ্যার্থী প্রাণ হারিয়েছেন (Pilgrims)। এর মধ্যে প্রথম ৪০ দিনেই ৭৫ জন পুণ্যার্থী প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর। বিগত ১০ বছরে এত কম সময়ের মধ্যে, এত সংখ্যক পুণ্যার্থীর মৃত্যুর নজির নেই।
কেদারনাথে মৃত্যু অব্যাহত
মঙ্গলবার কেদারনাথ যাত্রায় আরও চার জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা, ৬২ বছর বয়সি লালমন যাদব, মহারাষ্ট্র নিবাসী ৬৩ বছরের প্রশান্ত বংশী জালুকর, রাজস্থানের দুই বাসিন্দা ৭০ বছরের সত্যনারায়ণ শর্মা এবং ৬৭ বছরের তুলাচী দেবী মারা গিয়েছেন। এঁদের মধ্যে কেউ হাঁটতে হাঁটতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান, দর্শন সেরে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন কেউ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁরা মারা যান বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিকে শুক্লা জানিয়েছেন, এ বছর কেদারনাথ যাত্রায় গিয়ে এখনও পর্যন্ত ৮২ জন পুণ্যার্থী প্রাণ হারিয়েছেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার আগেই সকলের মৃত্যু হয়। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ২ হাজার ১৩১ জন পুণ্যার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। ২৪০ জনকে দেওয়া হয় অক্সিজেন। ওপিডি-তে ৭৮ হাজার ৭৪০ পুণ্যার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চিকিৎসা করা হয় সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৪ হাজার ৮৯ জন পুণ্যার্থীকে অক্সিজেন দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ বছর ৩ মে থেকে চারধাম যাত্রা (Char Dham Yatra) শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৯ লক্ষ ৪ হাজার ২৫৩ জন পুণ্যার্থী তাতে অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটি। পুণ্যার্থীর সংখ্যা দেখে কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী, গত ১১ মে এই চার ধামে ১০০০ জন করে বাড়তি পুণ্যার্থী প্রবেশে অনুমোদন দেয় উত্তরাখণ্ড সরকার।
চারধাম যাত্রায় ভিড় পুণ্যার্থীদের
এর ফলে, এই মুহূর্তে একদিনে বদ্রীনাথ এবং কেদারনাথ দর্শন করতে পারেন যথাক্রমে ১৬ হাজার এবং ১৩ হাজার পুণ্যার্থী । গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রীতেও দৈনিক পুণ্যার্থীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ৮ হাজার এবং ৫ হাজার। গত ৩ মে গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী যাত্রার জন্য দরজা খুলে দেওয়া হয়। কেদারনাথের দরজা খোলা হয় ৬ মে। ৮ মে দরজা খোলে বদ্রীনাথের।