রবিবার ভোরে কেরালার কোঝিকোড়ে জেলায় নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১২ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাও চলছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। এরই মধ্যে আরও দুই রোগীর দেহে দেখা গিয়েছে নিপা ভাইরাসের লক্ষণ। ২০১৮ সালেও কেরলে কার্যত মহামারীর আকার নিয়েছিল নিপা ভাইরাস। গত ৩ সেপ্টেম্বর তার মধ্যে নিপা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা যায় ওই কিশোরের দেহে।
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ জানিয়েছেন নিপা আক্রান্ত শিশুটির সংস্পর্শে এসেছিলেন এই দুই ব্যক্তি। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের শরীর থেকে আরেকজন ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারে।
কোঝিকরের হাসপাতালের এক সদস্য জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ১৮৮টি কেস চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। এঁদের মধ্যে ২০ জনকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। যাদের উপসর্গ বেশি। জানা গিয়েছে তাঁরা দুজনেই হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন সন্ধ্যের মধ্যেই নিপার লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিদের আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হবে। একটি নিপা ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে কোঝিকোড় মেডিকেল কলেজে।
কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ বলেন, “আমরা গতকাল রাতে বিভিন্ন দল গঠন করে চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছি। যারা ওই শিশুর সঙ্গে প্রাথমিকভাবে সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের আইসোলেট করার কাজ শুরু হয়েছে।"
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন বাদুড় থেকে মানুষের শরীরে ছড়ায় এই ভাইরাস। এর পর এক জনের থেকে আরেকজনের দেহে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। যেভাবে করোনা সংক্রমিত হয়। জ্বর, মাথাব্যথা, গা বমি ভাব, কিংবা মৃগির উপসর্গ এই ভাইরাসের মূল লক্ষণ। উপসর্গগুলি ১০ থেকে ১২ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।শেষ পর্যায়ে 'ব্রেন ফিভার' থেকে নিপা আক্রান্তের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
এদিকে, দেশে মোট আক্রান্তদের মধ্যে কেরলেই সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। সে রাজ্য গত একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২৯,৬৮২। কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ১৪২। দক্ষিণের রাজ্যে সবমিলিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১,৪২২। মোট পজিটিভিটি রেট সামান্য কমেছে।