কারুকাচল ( কেরল) : যৌনতার জন্য সঙ্গী বদল ! এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাত জনকে গ্রেফতার করল কেরল পুলিশ (Kerala Police)। রবিবার সন্ধেয় তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সন্দেহ করছে যে, ১,০০০ এরও বেশি দম্পতির এর সঙ্গে জড়িত।
সম্প্রতি এক মহিলা কারুকাচল থানায় তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর পরেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ওই মহিলা অভিযোগে জানান, তাঁর স্বামী তাঁকে অন্য পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে চাপ দিচ্ছে। এর আগে একই রকম অভিযোগ ওঠে কায়ামকুলাম থেকেও।
পুলিশ সূত্রের খবর, রাজ্যজুড়ে এই চক্র চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট গ্রুপটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট (Social Networking Site) ব্যবহার করত। প্রথমে তারা টেলিগ্রাম (Telegram) ও মেসেঞ্জার গ্রুপে যোগ দেয়। এভাবেই তারা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার স্বামীকে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পিছনে একটা বড় গ্রুপ আছে। এই মামলায় বাকি জড়িতদেরও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনই জানান চাঙ্গানচেরির ডেপুটি এসপি আর শ্রীকুমার।
আরও পড়ুন ; ফাঁদ পেতে নেতা ও আমলাদের ব্ল্যাকমেল, 'হানি-ট্র্যাপ' চক্রের পর্দাফাঁস মধ্যপ্রদেশে, গ্রেফতার পাঁচ মহিলা সহ ছয়
জানা গেছে, অভিযুক্তরা আলাপ্পুঝা, কোট্টায়াম ও এর্নাকুলাম জেলার। পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অভিজাত সার্কেলের অনেকে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। এই মুহূর্তে ২৫ জন পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে। এই ঘটনায় আগামী দিনে আরও অনেকে গ্রেফতার হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অনুমান করা হচ্ছে, এই চক্রের সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপটিতে ১ হাজারের বেশি সদস্য আছে।
এর আগে ডেটিং সাইট খুলে 'হানি ট্র্যাপ' খোলার অভিযোগ উঠেছিল গত জুলাই মাসে। এই ঘটনায় নবি মুম্বইয়ের সরকারি আধিকারিককে 'ব্ল্যাকমেল' করা হয়। কলকাতায় বসে ৪২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। হাইল্যান্ড পার্কের অভিজাত আবাসন থেকে গ্রেফতার হয় যুবক। একাধিক মহিলাকে ব্যবহার করে হানি ট্র্য়াপ। জুন মাসে নবি মুম্বইয়ের একটি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ পেয়ে কলকাতায় আসে মুম্বই পুলিশের ২ দল। গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্তকে।