নিউ দিল্লি: ক্রমশই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে কেরলে। ওনাম উৎসবের আগে প্রবলভাবে বৃদ্ধি পেল করোনা। টানা পাঁচ দিন ধরে কেরলে দৈনিক কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের ওপরে রয়েছে। করোনার এই উর্ধ্বমুখী গ্রাফ নিয়ে চিন্তিত সে রাজ্যের প্রশাসন। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ শনিবার রাজ্যবাসীকে উৎসব আবহে ভিড় এড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে উদযাপনে রাশ টানার কথাও জানিয়েছেন তিনি। 


সম্প্রতি কেরলে দৈনিক সংক্রমণের যে পরিসংখ্যান রয়েছে তা দেশের সব রাজ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন ওনামের সময় অনুষ্ঠান এবং উদযাপনের আয়োজন, অংশগ্রহণের সময় কঠোরভাবে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি কোভিড প্রোটোকলও অনুসরণ করতে হবে। স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ৬২৪ জন সংক্রমিত হয়েছে করোনাভাইরাসে, মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। সংক্রমণের হার প্রায় ১২.৩১ শতাংশ। সে রাজ্যে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ১৬ হাজার ৮৬৫। অ্যাক্টিভ কেস বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫০০। 


কেরলের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতে তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই সপ্তাহান্তে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে কেরল সরকার।সে রাজ্যে পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় দল। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এর ডিরেক্টর এস কে সিং বলেন, "অনেকটাই উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে কেরলের এই করোনা সংক্রমণ। অনেক জায়গায় দৈনিক সংখ্যা কমলেও সংক্রমণ এখনও রয়েছে। যা চিন্তার।" 


এদিকে,  দেশের ৪৬টি জেলায় করোনার 'পজিটিভিটি রেট' ছাড়িয়ে গিয়েছে ১০ শতাংশ। যা স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়িয়েছে কেন্দ্রের। তড়িঘড়ি করোনা নিয়ন্ত্রণে সতর্কবার্তা জারি করেছে দিল্লি। দেশের মধ্যে কেরল, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, ওড়িশা, অসম, মিজোরাম, মেঘালয়, অন্ধপ্রদেশ ও মণিপুরে ফের বাড়ছে সংক্রমণ। ১০ শতাংশের ওপর কোভিড পজিটিভিটি রেট রয়েছে এমন জেলায় কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছে সরকার। ৬০ ঊর্ধ্বদের অবিলম্বে টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করতে বলেছে সরকার। এ ছাড়াও ৪৫-৬০ বছরের ব্যক্তিদের তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন দিতে বলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।