মহারাষ্ট্র: একা করোনায় রক্ষে নেই, জিকা দোসর। দেশে ফের বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। কেরল, মহারাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। এই আবহে মারাঠাভূমে এবার হানা দিল জিকা ভাইরাস। পুণের পুরন্দর ব্লকের বেলসার গ্রামে ৫০ বছর বয়সী এক মহিলার শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে।


শনিবার মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আক্রান্ত মহিলা চিকনগুনিয়াতেও সংক্রমিত হয়েছেন। আক্রান্তের পরিবারের বাকি সদস্যদের শরীরে অবশ্য জিকা ভাইরাসের উপসর্গ নেই। ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার মতো জিকা ভাইরাসও মশাবাহিত একটি ভাইরাস।  যে এডিস মশার কারণে ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া প্রভৃতি রোগ ছড়ায়, সেই এডিস মশাই জিকা ভাইরাস বহন করে। 


চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে পুণের বেলসার গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরেই তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।  গত ১৬ জুলাই পুণের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজিতে আক্রান্তদের নমুনা পাঠানো হয়। ওই নমুনায় ২৫ জনের শরীরে চিকনগুনিয়া, তিনজনের শরীরে ডেঙ্গু ও একজনের শরীরে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।


প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালে আফ্রিকাতে প্রথম জিকা ভাইরাসের স্ট্রেন দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এই ভাইরাস প্রথম নজরে আসে ২০১৫ সালে, যখন তা ব্রাজিলে পাওয়া যায়। এরপর ধীরে-ধীরে এই জিকা ভাইরাস ভারতেও ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসটি সাধারণত এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এছাড়া, যৌন সংসর্গের মাধ্যমেও এই ভাইরাস ছড়ায়। ২০১৬ সালে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বা হু জিকা ভাইরাসকে পাবলিক হেলথ এমার্জেন্সি হিসেবে চিহ্নিত করে।


চলতি মাসের প্রথম দিকে কেরলে জিকা ভাইরাসে সংক্রমিত হন এক মহিলা। প্রাথমিকভাবে জ্বরের উপসর্গ দেখা যায় তাঁর শরীরে। সঙ্গে মাথা ব্যথা ও চামড়ায় লাল লাল দাগ দেখা যায়। প্রাথমিক রিপোর্টে জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে তাঁর শরীরে। এর পর বিষযটি নিয়ে নিশ্চিত হতে পুণের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজিতে ওই মহিলার রক্তের নমুনা পাঠানো হয়। সেখান থেকেই নিশ্চিত করা হয় গোটা বিষয়টি।