নয়াদিল্লি : আর মাত্র কিছু ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই আমাদের স্বাধীনতা দিবস। ইংরেজদের অত্যাচারের হাত থেকে স্বাধীন হওয়ার দিন। স্বাধীনতা দিবসে দেশের প্রতিটা জায়গায় উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। গেরুয়া, সাদা, সবুজে তৈরি তেরঙ্গা এই জাতীয় পতাকা আমাদের দেশের গর্বও বটে। তাই স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দাঁড়িয়ে দেশের জাতীয় পতাকার ইতিহাসও ফের জেনে নেওয়া জরুরি।


ভারতের জাতীয় পতাকা আয়তাকার। পতাকায় গেরুয়া, সাদা এবং সবুজ রং ছাড়াও কেন্দ্রস্থলে থাকে নীল রঙের অশোকচক্র। আমাদের দেশের নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় পতাকা খাদি কাপড়ে তৈরি করতে হয়। এই খাদি কাপড় আসলে এক বিশেষ ধরনের হস্তচালিত তাঁত দিয়ে তৈরি হয়। এবং এই খাদি কাপড়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্যই জাতির জনক মহাত্মা গাঁধী বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন।


ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হওয়ার আগে বিভিন্ন দেশীয় রাজ্যের শাসকরা আলাদা আলাদা নকশার বিভিন্ন পতাকা ব্যবহার করতেন। ১৮৮৩ সাল থেকে ১৭ বার বিবর্তিত হয়েছে ভারতের জাতীয় পতাকা। শুরুর দিকে জাতীয় পতাকা একেবারেই অন্যরকম দেখতে ছিল। কখনও পতাকায় লাল, হলুদ এবং সবুজ রং ব্যবহারও হয়েছিল। পরবর্তীকালে ১৯২২ সালে মহাত্মা গাঁধীর উপস্থিতিতে কংগ্রেসের বৈঠকে দেশের নির্দিষ্ট জাতীয় পতাকার প্রস্তাব পেশ করা হয়। সেই সময়ে পিঙ্গলি ভেঙ্কাইয়া পতাকার ডিজাইন তৈরি করেন। যার উপরে গেরুয়া, মাঝে সাদা এবং একেবারে নিচে সবুজ রং ছিল। মাঝে থাকে চরকা। গেরুয়া রং ত্যাগের প্রতীক, সাদা রং সত্য এবং শান্তির প্রতীক এবং সবুজ রং বিশ্বাস ও প্রগতির প্রতীক। এবং মাঝে থাকা চরকাকে ভারতের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন ও দেশবাসীর শ্রমশীলতার প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়। পরবর্তীকালে মাঝে সাদা অংশে ২৪টি দণ্ডযুক্ত অশোকচক্র স্থান পায়। 


প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৫ অগাস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস ৭৫ বছর পূর্ণ করবে। আর ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে দেশের সবথেকে বড় জাতীয় পতাকা উড়বে নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়্যারে।