নয়া দিল্লি : কর্পস কমান্ডার স্তরে বৈঠকের পরেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর নাগাড়ে চক্কর কেটে চলেছে চিনা ফাইটার জেট (Chinese Fighter Jets)। গত তিন-চার সপ্তাহে একাধিকবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (Line of Actual Control) কাছে প্ররোচনা দিয়ে চলেছে চিনা ফৌজ। এমনই খবর সূত্রের। আর তাদের এই পদক্ষেপকে ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মাপার উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে।


নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা ফাইটার জেট-


পাল্টা প্রতিরোধ-ব্যবস্থা হিসেবে ওই এলাকায় ফাইটার জেট মোতায়েনের পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনাও। তবে এটা মনে করা হচ্ছে যে, ভারতীয় বায়ুসেনার লাদাখ সেক্টরের মানোন্নয়ন নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি।


আরও পড়ুন ; লাদাখের কাছে চিন যেসব পরিকাঠামো গড়ছে তা "উদ্বেগজনক", সতর্কবার্তা আমেরিকার সেনা আধিকারিকের


সূত্রের খবর, এই পরিকাঠামো উন্নয়নের ফলে চিনের অনেকটা আভ্যন্তরীণ কার্যকলাপের উপর নজর রাখা যাবে। তাই তাদের অস্বস্তি।


সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে সরকারি সূত্র জানিয়েছে, জে-১১-সহ চিনের ফাইটার জেট প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার-লঙ্ঘনের নমুনা রয়েছে। 


এই পরিস্থিতিতে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা। চিনের বিরুদ্ধে দ্রুত পাল্টা পদক্ষেপ নিতে সেখানে সবথেকে শক্তিশালী মিগ-২৯, মিরাজ ২০০০-এর মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, চিনের এই পদক্ষেপের দিকে কড়া নজর রাখছে আইএএফ।


প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে আমেরিকার জেনারেল চার্লস এ ফ্লিন মন্তব্য করেছিলেন,  লাদাখে (Ladakh) চিন (China) যেসব কার্যকলাপ করছে তা "চোখ খুলে" রাখার মতো। সেখানে যেসব পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে, তা যথেষ্ট "উদ্বেগজনক"। 


আমেরিকার তরফে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেখভাল করেন তিনি। তিনি মন্তব্য করেন, "আমি মনে করি, যে সেখানে যে পর্যায়ে কার্যকলাপ হচ্ছে তাতে চোখ খুলে রাখা উচিত। ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডে যে সব পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে, তাতে সতর্ক হয়ে যাওয়া উচিত।" চিনের এই পদক্ষেপকে তিনি "অস্থিতিশীল এবং ক্ষতিকারক আচরণ" বলে বর্ণনা করেন।