নয়াদিল্লি: লখিমপুরকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেছেন,. ‘রাজ্যের তরফে যে পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা সন্তোষজনক নয়।’
 ‘আশিস মিশ্রকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি?’,  সেই প্রশ্নও করেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। এর জবাবে উত্তরপ্রদেশ সরকার জানায় যে, কাল সকাল ১১ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে আশিস মিশ্রকে। এই উত্তরে সন্তুষ্ট হয়নি সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের প্রশ্ন,  ‘আপনারা কি খুনের মামলায় অভিযুক্ত সবার সঙ্গেই এমন করেন? নোটিস করবেন, তারপর অপেক্ষা করবেন, কবে আসবে?’
মামলার পর্যবেক্ষণে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, ‘শুধু কথায় অ্যাকশন, কাজ কিছু হচ্ছে না’
শুনানিতে এই মামলায় সময় চাইল রাজ্য সরকার, পুজোর পর হবে শুনানি। অন্য এজেন্সিকে দিয়ে কি তদন্ত করানো হবে? জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ যেন সংরক্ষিত থাকে, এ ব্যাপারে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।


ওই ঘটনার স্পর্শকাতরতার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। ওই ঘটনাকে আটজনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে বলেছে, সমস্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।  আদালত ঘটনার স্পর্শকাতরতার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে।


অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে হরিশ সালভে বলেছেন, প্রধান অভিযুক্তকে হাজির হতে নোটিস দেওয়া হয়েছে। তিনি সময় চেয়েছেন। তাঁকে আগামীকাল সকাল ১১ টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে না এলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।


এ ব্যাপারে প্রধান বিচারপতি জিজ্ঞাসা করেন, অভিযুক্ত পেশ হতে অনুরোধের কী প্রয়োজন? এর পর সালভে বলেন, গুলি চালানোর কোনও প্রমাণ মেলেনি। সেজন্যই তাঁকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।


উল্লেখ্য, এই মামলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র ছেলেকে লখিমপুর খেরির হিংসার ঘটনায় এদিন সকাল ১০ টায় পুলিশের কাছে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি এদিন আসেননি বলে জানা গেছে। এক বিবৃতিতে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা বলেছে, ‘অজয় মিশ্রর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, তিনি স্থান বদলাচ্ছেন এবং ফেরার হয়ে গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ বিভিন্ন দল তাঁকে খুঁজছে'। 
আশিস মিত্র গ্রেফতার না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা’।