লখিমপুর খেরি (উত্তরপ্রদেশ): উত্তপ্ত লখিমপুর খেরিতে যাওয়ার পথে হারগাঁওতে গ্রেফতার প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। এমনটাই দাবি করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে।  সূত্রের খবর, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদককে সীতাপুরের এক অতিথি নিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 


আন্দোলনরত কৃষক সহ ৮ জনকে গাড়িতে পিষে ও গুলি চালিয়ে খুনের অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই লখিমপুর রওনা হন উত্তর প্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। 


যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি শ্রীনিবাস বিভি-র দাবি, হারগাঁওতে রাস্তায় পুলিশ তাঁর কনভয় আটকে দেয়। এরপরই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কংগ্রেস সমর্থকরা। কংগ্রেসের দাবি, প্রিয়ঙ্কাকে সীতাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এই মর্মে একটি ভিডিও তিনি ট্য়ুইট করেন।


এদিকে, কংগ্রেস সূত্রের খবর, লখিমপুর খেরি যেতে পারেন রাহুল গাঁধীও। সোমবার লখিমপুর যাওয়ার কথা সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব, আরএলডি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জয়ন্ত চৌধুরীর।


সূত্রের খবর, সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব ও বিএসপি নেতা সতীশ মিশ্রকে নজরবন্দি করেছে যোগী সরকারের প্রশাসন।  লখিমপুর খেরিতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। গোটা এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে সরকার।


আজ সকালে তৃণমূলের ৫ সাংসদের প্রতিনিধিদল লখিমপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। প্রতিনিধিদলে রয়েছেন দোলা সেন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল, আবির রঞ্জন বিশ্বাস এবং সুস্মিতা দেব।  লখিমপুরের ঘটনায় গচতকালই ট্যুইটে নিন্দা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।    


এদিকে, সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, নিহতদের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করার জন্য ইতিমধ্যেই লখিমপুরে পৌঁছেছেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়ত।


উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে আন্দোলনরত কৃষক সহ ৮ জনকে গাড়িতে পিষে ও গুলি চালিয়ে খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। 


সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রকে মন্ত্রীপদ থেকে বরখাস্ত ও তাঁর ছেলেকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে কৃষকরা। সেইসঙ্গে তাঁর নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের একজনের চাকরির দাবিও জানিয়েছে।


আরও পড়ুন: কৃষককে 'পিষে মারল' মন্ত্রীর ছেলে, নিন্দায় সরব মমতা