লখনউ: উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষক জমায়েতের ওপর গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। এই ঘটনায় ৮ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। যদিও পাল্টা অভিযোগ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সমর্থকদের কনভয়ে থাকা গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে কৃষকদের। ঘটনার পর ২টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত কৃষকরা।  ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী, অখিলেশ যাদব সহ বিরোধী নেতারা। কৃষক হত্যার প্রতিবাদে কাল লখিমপুর খেরি যাচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, অখিলেশ যাদবরা।


কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি। কৃষক জমায়েতের ওপর গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার জন্য মৃত ৮, জ্বলল গাড়ি। বিক্ষোভরত ১ কৃষককে গুলি করে খুনেরও অভিযোগ উঠেছে। আরও ২ কৃষককে গাড়িতে পিষে মারার অভিযোগ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার।


আরও পড়ুন, মমতাদির জয়ই সত্যের জয়, টুইটে শুভেচ্ছা অখিলেশ যাদবের


এদিকে, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, ঘটনাস্থলে ছিলই না ছেলে। এদিকে এই ঘটনার বিরুদ্ধে ৩ বিজেপি কর্মী ও এক গাড়িচালককে পিটিয়ে মারার পাল্টা অভিযোগ মন্ত্রীর। বিক্ষোভরত কৃষকদের একাংশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছেন তিনি।


ঠিক কী ঘটেছিল লখিমপুর খেরিতে? 


উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর গ্রামে কুস্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানে যাওয়ার কথা ছিল উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যর। মন্ত্রীরা আসছেন শুনে, কৃষি আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের প্রস্তুতি নেন কৃষকরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর যাত্রাপথে রাস্তায় জড়ো হন অনেকে। অভিযোগ, সেই সময়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ের গাড়ি কয়েকজন বিক্ষোভরত কৃষককে পিষে দেয়। গোলমালের মধ্যে গুলিও চলে বলে অভিযোগ।



এদিকে, লখিমপুর খেরির বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইটে তৃণমূল নেত্রী বলেন, "কালই তৃণমূলের ৫ সাংসদের প্রতিনিধি দল যাচ্ছে লখিমপুর খেরিতে। কৃষকদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে লখিমপুর খেরিতে যাচ্ছে তৃণমূল।" 


ঘটনার কঠোর নিন্দা করে বিজেপিকে নিশানা করে রাহুল গাঁধী ট্যুইটে লেখেন, "এই অমানবিক গণহত্যা দেখেও যাঁরা চুপ করে থাকবেন, তাঁদের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে। এই বলিদান ব্যর্থ হতে দেব না। কিষাণ সত্যাগ্রহ জিন্দাবাদ।" কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিংহ সিধু ট্যুইট করেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। নিরীহ কৃষকদের খুনের জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত। নারকীয় এই ঘটনার জন্য তাঁকে এখনই গ্রেফতার করা উচিত।


যদিও, যোগী প্রশাসনের দাবি, যে দুটি গাড়িতে আগুন ধরানো হয়, তার একটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের। যদিও তিনি গাড়িতে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।এরইসঙ্গে বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দাবি, তাঁর দলের কর্মীদেরই মারা হয়েছে।