নয়া দিল্লি : লখিমপুর খেরির ঘটনায় স্বরাষ্ট্র প্রতিন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সুর চড়াচ্ছে কংগ্রেস। তাঁর সাসপেনসনের দাবিতে আজ রাজ্যসভা ও লোকসভার সদস্যরা পদযাত্রা করেন। সংসদে গাঁধী মূর্তি থেকে  বিজয়চক পর্যন্ত পদযাত্রা করেন তাঁরা। এদিকে সুর চড়ান কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীও। তিনি বলেন, আমরা ওঁকে ছাড়ব না। আজ বা কাল, ওঁকে জেলে পাঠাবই।


এদিকে লখিমপুর খেরির ঘটনা 'একটি হত্যা', এই অভিযোগ তুলে মন্ত্রীর পদত্যাগ এবং শাস্তির দাবি জানান রাহুল। আজ লোকসভায় এই ইস্যুতে সরব হন তিনি। দিনকয়েক আগে লোকসভায় ওয়াইনাডের সাংসদ বলেন, লখিমপুর খেরিতে যে খুনের ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে আমাদের বলতে দিতে হবে, কারণ- এখানে একজন মন্ত্রী যুক্ত এবং এই ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলা হচ্ছে । যে মন্ত্রী কৃষকদের হত্যা করেছেন, তাঁর পদত্যাগ করা উচিত এবং শাস্তি পাওয়া উচিত।


আরও পড়ুন ; "বিজয় দিবস পালনে ইন্দিরা গাঁধীর নাম নেই,'' কেন্দ্রকে তোপ রাহুলের


প্রসঙ্গত, খুনের মামলা দায়ের হয়েছে আগেই। লখিমপুর খেরিতে (Lakhimpur Kheri Incident) কৃষকদের গাড়ি চাপা দেওয়া মামলায় আরও বিপাকে পড়তে পারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর (Ajay Mishra) ছেলে আশিস মিশ্র (Ashish Mishra)। কারণ কৃষক হত্যার ঘটনাকে এ বার পরিকল্পতি ষড়যন্ত্র (Planned Conspiracy) বলে উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। 


এমনিতেই মূল অভিযুক্ত আশিসের বিরুদ্ধে খুন এবং ষড়যন্ত্রের দু’টি পৃথক মামলা রয়েছে। তাতে খুনের চেষ্টা-সহ আরও একাধিক ধারা যোগ করতে চান তদন্তকারীরা। আরও অভিযোগ যোগ করতে চেয়ে আদালতে চিঠিও দিয়েছেন তাঁরা। জনরোষ উপেক্ষা করে অভিযুক্ত আশিসের বাবাকে এখনও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর পদে বহাল রাখা নিয়ে এমনিতেই অস্বস্তিতে বিজেপি (BJP)। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে এই মুহূর্তে উত্তরপ্রেদশে বিজেপি-র প্রস্তুতি তুঙ্গে। এমন পরিস্থিতিতে তদন্তকারীদের এই মন্তব্য তাদের অস্বস্তি বাড়বে বই কমবে না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


গত ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে আন্দোলনরত কৃষকদের (Farmers' Protest) উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ায় অভিযুক্ত আশিস। তাঁর বাবা অজয়ের বিরুদ্ধেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কৃষকরা। সেই সময় পিছন থেকে তাঁদের উপর দিয়ে পর পর তিনটি গাড়ি চলে যেতে দেখা যায় ঘটনাস্থল থেকে সামনে আসা ভিডিয়োয়।


ওই দিন লখিমপুর খেরিতে মোট আট জন প্রাণ হারান। গাড়ির নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় চার কৃষকের (Farmers Killed in Lakhimpur Kheri)। তার পর পরিস্থিতি হিংসাত্মক হয়ে উঠলে এক সাংবাদিক-সহ আরও চার জন মারা যান। এর মধ্যে নিহত সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন বলে দাবি তাঁর পরিবাররে। কৃষকদের দাবি, গাড়ি থেকে নেমে গুলি ছুড়তে ছুড়তেই পালিয়ে যান আশিস।