নয়া দিল্লি : দুর্নীতি মামলার তদন্তে লালুপ্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Yadav) বাড়িতে তল্লাশি চালাল সিবিআই। দিল্লি ও বিহারে আরজেডি নেতার ১৭টি ঠিকানায় তল্লাশি চালানো হয়। সিবিআই সূত্রে দাবি, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন অনেককে রেলে চাকরি দিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ। অভিযোগ, তার বিনিময়ে সস্তায় জমি পেয়েছিলেন আরজেডি নেতার পরিবারের সদস্যরা। সিবিআইয়ের সন্দেহ, জমি কেনার সময়ও টাকা দেওয়া হয়নি। এই সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। আজ রাবড়ি দেবীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই অফিসাররা।


গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি (Fodder Scam) সংক্রান্ত একটি মামলায় নতুন করে দোষী সাব্যস্ত হন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। ডোরান্ডা ট্রেজারি কেস (Doranda treasury case) নামে পরিচিত এই মামলা। বেআইনিভাবে ডোরান্ডা ট্রেজারি থেকে ১৩৯.৩৫ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পশুখাদ্য মামলা এটি। এই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হন লালু। এই মামলায় ২৪ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করেছে আদালত। ৩৫ জন অভিযুক্তের তিন বছরের কম সময়ের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারপতি এস কে শশী। গতমাসে ডোরান্ডা ট্রেজারি দুর্নীতি মামলায় ৭৩ বছরের বর্ষীয়ান এই নেতাকে জামিন মঞ্জুর করেন ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। এই মামলায় ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে ৫ বছর জেলের সাজা শুনিয়েছিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। তাঁকে ৬০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।


আরও পড়ুন ; পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির পঞ্চম মামলায় ৫ বছরের জেল ও ৬০ লাখ টাকা জরিমানা লালুপ্রসাদের


১৯৯৬ সালে সিবিআই ডোরান্ডা পশুখাদ্য মামলায় মামলা দায়ের করে। ১৭০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযুক্তদের মধ্যে ৫৫ জন ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন। সাতজন সরকার পক্ষের হয়ে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালত রায় দেওয়ার আগেই নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেন দু’জন। এই পশুখাদ্য মামলায় লালু ছাড়াও প্রাক্তন সাংসদ জগদীশ শর্মা, বিহারের তৎকালীন প্রাণীসম্পদ দফতরের সচিব ড. আর কে রানা, প্রাণীসম্পদ দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর কে এম প্রসাদ অভিযুক্ত হন।


এর আগে দুমকা, দেওঘর ও চাইবাসা ট্রেজারি সংক্রান্ত চারটি মামলায় মোট ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় লালুকে। তিনি অবশ্য পটনা হাইকোর্ট থেকে চারটি মামলাতেই জামিন পান।