চণ্ডীগড় : 'লিভ-ইন সম্পর্ক নীতিগত ও সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়'। বাড়ি থেকে পালিয়ে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা এক যুগলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলা খরিজ করে এমনটাই জানাল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট।


১৯ বছরের গুলজা কুমারী ও ২২ বছরের গুরবিন্দর সিংহ পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন দাখিল করেছিল। তাঁদের বক্তব্য ছিল, এই মুহূর্তে তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছে, অল্পদিনের মধ্যেই বিয়ের পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। কিন্তু গলজার বাড়ির লোকের কাছ থেকে ক্রমাগত হুমকি পাওয়ার পরই নিরাপত্তার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে তাদের।


যে মামলা নিয়ে শুনানির সময় বিচারপতি এইচএস মাদান বলেছেন, 'এই আবেদনের মাধ্যমে আখেরে লিভ-ইন সম্পর্ককেই মান্যতা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু নীতিগত ও সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয় লিভ-ইন সম্পর্ক, যার জেরে এই আবেদন খারিজ করা হচ্ছে।'


তরুণ যুগলের আইনজীবী জেএস ঠাকুর জানিয়েছেন, গুলজার বাড়ি থেকে তাদের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার জেরেই বাধ্য হয়ে পালিয়ে এই মুহূর্তে লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছেন তারা। তবে গুরবিন্দরের সঙ্গে গুলজার সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার পাশাপাশি তাদেরকে হুমকিও দিচ্ছে মেয়ের পরিবার। যার ফলেই নিরাপত্তার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ওরা। এমনিতেই গুলজার বয়স আইনিভাবে বিবাহের সম্মত্তি দেয়, কিন্তু ওর পরিবার সেই সব বয়সের প্রমাণপত্র তাদের কাছে রেখে দেওয়াতেই বিয়ে করতে পারছে না ওরা। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের মান্যতার পরও কেন এভাবে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট লিভ-ইন সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, সে বিষয়েও তাঁর জানা নেই বলেই উষ্মাপ্রকাশ করেছেন যুগলের আইনজীবী।


২০১০ সালে একটি মামলার পর্যবেক্ষণের সময় লিভ-ইন সম্পর্ককে কার্যত বিবাহের সমতু্ল্য হিসেবেই মান্যতা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত একটি মামলার পর্যবেক্ষণে সাফ জানিয়েছিল, লিভ-ইন সম্পর্কে থাকলেও যে কোনও মহিলাকে স্ত্রী-র মর্যাদাই দিতে হবে। যদিও কিছুদিন আগে দেশের অন্য একরটি হাইকোর্টও লিভ-ইন সম্পর্ক নিয়ে বিরুদ্ধ রায় দিয়েছিল। তারাও সামাজিকভাবে মান্যতার প্রসঙ্গ সামনে তুলে ধরেছিল।