ভুবনেশ্বর: ওড়িশায় বাড়ানো হল লকডাউনের মেয়াদ। মঙ্গলবার এমনটাই ঘোষণা করেছে ওড়িশা সরকার। জানানো হয়েছে আগামী ১ জুন বিকেল ৫ টা পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে। এর আগে গত ৫ মে ১৪ দিনের লকডাউন জারি করে ওড়িশা সরকার। তবে করোনার প্রকোপ বাড়ায় সিদ্ধান্ত বদল করেছে ওড়িশা।


গতকালই শেষ হচ্ছিল প্রথম দফার লকডাউন। আর তার আগের দিনই ফের মেয়াদ বাড়লো লকডাউনের। এদিন বিধিনিষেধ উল্লেখ করে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।  নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে। বাজার, মুদির দোকান খোলা থাকবে সকাল ৭টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত।


সাপ্তাহিকভাবে দোকান-বাজার বন্ধের যেমন নির্দেশিকা রয়েছে, সেটাই জারি থাকবে। পাশাপাশি বিয়ে ইত্যাদি সামাজিক অনুষ্ঠানে বর এবং বউকে নিয়ে ২৫ থেকে ৫০ জন উপস্থিত থাকতে পারবে। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব সুরেশ মহাপাত্র বলেন, যাঁরা, 'এই নির্দেশিকা মানবে না তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে'। 


উল্লেখ্য, ওড়িশার কোভিড পরিস্থিতি ভাল নয়। গত ২৪ ঘণ্টা সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১০,৩২১জন। এই নিয়ে ওড়িশায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬,৩৩,৩০২ জন। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় ওড়িশায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু হয়েছে ২২ জনের। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে, ২,৩৫৭ জনে।


ট্যুইটারে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, 'দুঃখের সঙ্গে  ২২ জন করোনা আক্রান্তেক মৃত্যুর খবর দিতে হচ্ছে। তাঁরা প্রত্যেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।' স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে খবর, ওড়িশায় পজেটিভিটি রেট ৫.৭৬ শতাংশ। ১.০৯ কোটিরও বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এখনও পর্যন্ত।  


প্রথম দফার লকডাউন ঘোষণা করে রাজ্যের তথ্য ও জনসংযোগ দফতর জানায় , ৫ই মে বুধবার থেকে ১৯ মে বুধবার ভোর ৫টা পর্যন্ত পর্যন্ত এই লকডাউন কার্যকরী হবে। তবে একান্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২ টার মধ্যে বাড়ি থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। এবার ফের বাড়ানো হ মেয়াদ।


রোজই চওড়া হচ্ছে করোনার থাবা। সম্প্রতি ওড়িশার জেলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২ জন। বাকি ১২০ জন বন্দির করোনা পরীক্ষার রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে। বেগতিক দেখে ৪৪৯ জন বন্দিকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। 


ওড়িশায় করোনার দাপট বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী ১৫ মে পর্যন্ত ভক্ত-দর্শনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পুরীর মন্দিরের দরজা। ২৪ এপ্রিল এই মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রী জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ (এসজেটিএ)। তবে, মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভক্তদের জন্য মন্দির বন্ধ হলেও, নিয়মিত পুজো চলবে। মন্দিরে একমাত্র সেবায়েত ও মন্দির কমিটির আধিকারিকরাই প্রবেশ করতে পারবেন।


ওই বৈঠকে এ-ও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, প্রথা অনুযায়ী, রথের চাকা তৈরির কাজ চলবে। আগামী চন্দনযাত্রা, স্নানযাত্রা ও রথযাত্রার কথা মাথায় রেখে যথেষ্ট পরিমাণ মাস্ক ও স্যানিটাইজার কিনবে মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত এবছর ১২ জুলাই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রথযাত্রার।