ভোপাল: সমঝোতা পাকা না হলেও, প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) দাওয়াই হাতে রয়েছে। সেই মতোই কি কাটছাঁট শুরু করল কংগ্রেস (Congress)! মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে কমলনাথ (Kamal Nath) সরে দাঁড়ানোর পর এই প্রশ্নই এখন মুখে মুখে ফিরছে কংগ্রেসের অন্দরে। কারণ কংগ্রেসে এতদিন দু'টি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন কমলনাথ। বৃহস্পতিবার তার মধ্যে একটি থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। আপাতত শুধুমাত্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবেই মধ্যপ্রদেশ কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি। 


পিকে-র পরামর্শ মেনেই কি কমলনাথের ডানা ছাঁটল কংগ্রেস!


কংগ্রেসের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে কমলনাথের পদত্যাগের কথা জানানো হয়েছে। সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী (Sonia Gandhi) ইতিমধ্যে কমলনাথের পদত্যাগপত্র গ্রহণও করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। দলের নেতা কেসি বেণুগোপাল জানিয়েছেন, কমলনাথের জায়গায় মধ্যপ্রদেশে গোবিন্দ সিংহকে পরিষদীয় দলনেতা নিযুক্ত করা হয়েছে। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার ভূমিকাতে তাঁকেই দেখা যাবে । 


গোবিন্দ নিজে সাত-সাতবার বিধায়ক হয়েছেন। বর্তমানে ভিন্দের লহরের বিধায়ক তিনি, যা আবার বিজেপি-র মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ঘরের মাঠ। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত গোবিন্দ। এ দিন দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি বলেন. "মানুষের সমস্যার কথা এতদিন বিধানসভায় তুলে ধরছিলাম। আগামী দিনেও তা চালিয়ে যাব।" তবে কমলনাথ পদত্যাগ করেননি, তাঁর সঙ্গে দায়িত্ব ভাগ করে নিয়েছেন মাত্র বলে দাবি গোবিন্দের।


আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: মোদির যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো সহযোগিতামূলক নয়, জবরদস্তিমূলক: রাহুল গাঁধী।Bangla News


তবে সত্যতা যআই হোক না কেন, কমলনাথ সরে দাঁড়ানোয় আপ্লুত বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে বিজেপি-র মিডিয়া আহ্বায়ক লোকেন্দ্র পরাশর টুইটারে লেখেন, "নাথের ডানা ছাঁটার পর পরিষদীয় দলেনেতা হিসেবে গোবিন্দ সিংহের নিযুক্তি মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসে দিগ্বিজয়ের প্রত্যাবর্তনেরই সূচনা। কাল হয়ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন নাথ। হতে পারে উপজাতি নেতা উমং সিংঘরের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে।"


দিগ্বিজয়ের প্রত্যাবর্তন এগিয়ে আসছে বলে মত বিজেপি-র








 









 

মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ, ২০১৮ সাল থেকে রাজ্যে কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। সে বার ভোটে জেতার পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে তাঁর সঙ্গে সংঘাত দেখা দেয় জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাতেই কমলনাথের সরকার ফেলে নিজের অনুগামী ২২ জন বিধায়ক নিয়ে সিন্ধিয়া বিজেপি-তে যোগ দেন।