Maharashtra Landslides: লাগাতার বৃষ্টিতে ক্রমশ বিপর্যয় বাড়ছে মহারাষ্ট্রে। ভূমিধস এবং বন্যার জেরে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৪৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ৬৪ জন। মহারাষ্ট্র সরকারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান সাতারা এবং রায়গড় জেলা থেকে ৩৬টি অতিরিক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে রবিবার। 


রায়গড় জেলা থেকেই ৬০ জনের মৃত্যুর  খবর এসেছে, রত্নগিরি থেকে ২১ জনের, সাতারা থেকে ৪১ এবং থানে থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর জানান হয়েছে সরকারিভাবে। মুম্বই এবং পুনে থেকেও উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ। মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, রত্নগিরি জেলার বন্যাকবলিত চিপলুন শহরে পাঁচটি ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে। এনডিআরএফের ২৫ টি দল, এসডিআরএফের চারটি দল, কোস্টগার্ডের দুটি দল, নৌবাহিনীর পাঁচটি দল এবং সেনাবাহিনীর তিনটি দল ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছে।


মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিকে ৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন। রবিবার বন্যাকবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও কথা বলেন। জেলাগুলিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। সোমবার পশ্চিম মহারাষ্ট্র সফর করবেন উদ্ধব ঠাকরে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে বিশদ তথ্য প্রস্তুত করা হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সাহায্যের কথাও বলেছেন শিবসেনা প্রধান।


চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ভারী বৃষ্টির জেরে রায়গড় জেলায় তলিয়ে যায় বেশ কিছু গ্রাম। একটানা বৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে একাধিক জায়গায় বাড়িও ভেঙে পড়েছে। গত কয়েক দিন ধরেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। তাতে মুম্বই-সহ একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছেন যে হঠাৎ বিপর্যয়ের ফলে আগাম প্রস্তুতি নিতে পারেনি মহারাষ্ট্র সরকার। কিন্তু আগামী দিনে যাতে এই দুর্যোগের সঙ্গে যুঝতে পারে মহারাষ্ট্র, সেই চেষ্টা করার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব। 


পরিস্থিতি সামাল দিতে বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের সঙ্গে বৃহস্পতিবারই জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। পুত্র আদিত্য ঠাকরেও ছুটে গিয়েছেন একাধিক জায়গায়।