মুম্বই: সোমবার মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে সে রাজ্যে ফের বাড়ল করোনার ডেল্টা প্লাসের সংক্রমণ। নতুন করে সে রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ জন। করোনা ভাইরাসের এই প্রজাতির বিস্তার কীভাবে হচ্ছে তা নিশ্চিত করতে নিয়মিতভাবে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষা করছে।


সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে পজিটিভ রোগীদের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য মুম্বাইয়ের কস্তুরবা হাসপাতালে পাঠানো প্রথম ব্যাচের ১৮৮টি নমুনার মধ্যে ১২৮টিতে ডেল্টা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ ৬৮ শতাংশ। অন্যদিকে, মোট নমুনার ১.০৬ শতাংশে পাওয়া গিয়েছে আলফা ভ্যারিয়েন্ট আর ১২.৭৬ শতাংশে পাওয়া গিয়েছে কাপ্পা ভ্যারিয়েন্ট।


গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৪৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১০৫ জনের। ফেব্রুয়ারির পরে এতটা কমল সংক্রমণ। 


এদিকে,  এগিয়ে আসছে  তৃতীয় ঢেউ। সোমবার এই সতর্কবার্তা দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আওতাধীন ন্যাশনাল ইনস্টটিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমাও করেছে। তাতে এনআইডিএম(ন্যাশনাল ইনস্টটিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট)-এর তরফে বলা হয়েছে, অক্টোবরেই শিখরে পৌঁছতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি আরও ভাল চিকিৎসা পরিকাঠামোর দাবি জানিয়েছে। প্রধানত শিশুদের ক্ষেত্রে। কারণ, এবার প্রাপ্ত-বয়স্কদের মতো তাদেরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। 


প্রসঙ্গত, দেশে করোনায় ফের ৩০ হাজারের নীচে নেমেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণের পাশাপাশি কমেছে দৈনিক মৃত্যুও। প্রায় ৫ মাস পর অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও নেমেছে ৩ লক্ষের নীচে। তবে এর পাশাপাশি রয়েছে আশঙ্কার বার্তাও।


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে তৈরি এই কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রচুর সংখ্যক শিশু আক্রান্ত হলে যে হারে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও ভেন্টিলেটর-অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন পড়বে তার ধারেকাছেও আমরা নেই। এর পাশাপাশি রিপোর্টে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শিশুদের টিকাকরণের কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে সেইসব শিশুর জন্য যাদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে। নজর দিতে হবে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের প্রতি। রিপোর্টে শিশুদের ঝুঁকির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।