নয়াদিল্লি : সনিয়া গাঁধীকে চিঠি লিখে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়লেন প্রাক্তন সাংসদ ও মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী সুস্মিতা দেব। চিঠিতে সুস্মিতা দেব লিখেছেন, ''জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে তিন দশকের সম্পর্ক শেষ করছি। আমার পাশে থাকার জন্য সতীর্থ ও দলের নেতা-মন্ত্রীদের ধন্যবাদ। তিন দশকের স্মৃতি সারা জীবন মনে রাখব।'' 


কংগ্রেস ছাড়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন সুস্মিতা দেব। ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের পর মা-মাটি মানুষের উত্তরীয় পরে নবান্নে যান অসমের শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ।



কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ সন্তোষমোহন দেবের মেয়ে সুস্মিতা দেব ২০১৪-য় শিলচরের সাংসদ হন। ত্রিপুরার পর অসমেও দলীয় সংগঠন তৈরি করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই বিধায়ক অখিল গগৈকে দলে নিতে প্রস্তাব পাঠিয়েছে তারা। এই পরিস্থিতিতে সুস্মিতা দেব কংগ্রেস ছাড়তে চাওয়ায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনা জোরদার হয়। সেই জল্পনা সত্যি করে তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন। 

কংগ্রেস ছাড়ার পর থেকেই জোরদার হয় সুস্মিতা দেবের তৃণমূল ছাড়ার জল্পনা। কারণ কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ তারপরই দেখা করেন অভিষেকের সঙ্গে। সেখানে তাঁর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। তারপর সুস্মিতা দেব সরাসরি পৌঁছে যান নবান্নে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার পর হাত শিবির থেকে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখালেন সুস্মিতা। 

সুস্মিতা দেব কংগ্রেস ছাড়ার পর সাময়িক গুঞ্জন তৈরি হয়, তিনি বোধ হয়  বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। কিন্তু তারপর বদলে যায় চিত্র। যদিও এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে জানানো হয়, সুস্মিতার বিজেপি যোগের সম্ভাবনা নেই। 


বিজেপি নেতা-সাংসদ রাজদীপ রায় জানিয়েছেন, সুস্মিতা কোনও শীর্ষ বিজেপি নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তাঁর কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত একেবারেই ব্যক্তিগত। 


কিছুদিন আগে রাহুল গাঁধীর সঙ্গে সুস্মিতারও অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে ট্যুইটার। অভিযোগ ছিল, তিনি দিল্লিতে ধর্ষিতা ও মৃতার মা-বাবার ছবি পোস্ট করেছিলেন। পরে অবশ্য তাঁর অ্যাকাউন্ট ফিরিয়েও দেওয়া হয়। 


[tw]

[/tw]