নয়া দিল্লি: দেশে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও কেরলে এখনও সংক্রমণ প্রায় ২০ হাজারের কাছাকাছি। কেরলের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৫৮২ জন কোভিড ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত দক্ষিণের এই রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬.৬৯ লক্ষ। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১০২ জনের। কেরলে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৬০১ জনের। দেশের মোট সংক্রমণের প্রায় ৫৪ শতাংশ আসছে কেরল থেকেই। 


এদিকে, রবিবার মহারাষ্ট্রে রবিবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৭৯৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩০ জনের, করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ হাজার ৭১০ জন। মহারাষ্ট্রে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে ৬৩ লক্ষ ৯২ হাজার ৬৬০ জন। মারাঠাভূমে মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৩৯ জনের।


এরই মধ্যে গোয়ায় বাড়ল কার্ফুর মেয়াদ। ২৩ অগাস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হল করোনা কড়াকড়ি। ২০২১ সালের মে মাসে প্রথম কার্ফু জারি করা হয়। তারপর বারবার বাড়ানো হয়েছে মেয়াদ। সকাল ৭ টা থেকে সন্ধে ৬ টা অবধি দোকান ও মল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে কড়াকড়ি শিথিল করা হয় আউটডোর স্পোর্টস কমপ্লেক্স, স্টেডিয়াম খোলা রাখার ক্ষেত্রেও। পার্লার ও সেলুনের ক্ষেত্রেও নিয়ম শিথিল হয়। ৫০ শতাংশ লোকজন নিয়ে জিম খোলা রাখাও শুরু হয়। 


গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত বলেন, গোয়াই দেশের প্রথম রাজ্য, যেখানে কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজটি  যোগ্য জনসংখ্যার ৯০ শতাংশকেই দেওয়া হয়ে গিয়েছে। তিনি আশা করেন, যে গতিতে ভ্যাকসিনেশন চলছে তাতে উপকূলীয় রাজ্যের বাসিন্দারা খুব শিগরিরিই প্রতিষেধক পেয়ে যাবেন সকলে।


গোয়ার পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশেও কোভিড কার্ফুর দিন বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২১ অগাস্ট পর্যন্ত জারি থাকবে করোনার বিধিনিষেধ। সে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব অনিল কুমার সিঙ্ঘল বলেন যে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬ পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকবে। সংক্রমণের প্রাবল্যর কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান হয়েছে। এই নিয়মভঙ্গ হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমনটাই বলেন তিনি।