কলকাতা : রাজ্য-রাজনীতিতে একাধিক ইস্যুর আবহেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দিল্লি সফর নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। অভিযোগ তুলেছে আঁতাঁতের। যদিও সেইসব অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের বক্তব্য, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের যে পাওনা টাকা বকেয়া রয়েছে, তা নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তা-ই নয়, এই মর্মে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের ফেসবুক পেজে তুলে ধরা হয়েছে সেই চিঠির প্রতিলিপ।


কী দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী ?


চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, একশো দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা-সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের ১ লক্ষ ৯৬৮ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। যার জেরে সরকার চালাতে, এবং মানুষকে পরিষেবা দিতে অত্যন্ত অসুবিধা হচ্ছে। কোন খাতে কত টাকা বকেয়া রয়েছে, ভেঙে ভেঙে তার একটি হিসেবও পেশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।



আরও পড়ুন ; প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৪৫ মিনিটের বৈঠক, কী প্রসঙ্গ তুললেন মমতা ?


শুক্রবার একের পর এক ঘটনা ঘিরে, রাজ্য থেকে রাজধানীতে রাজনীতির পারদ তুঙ্গে। নিয়োগ-দুর্নীতির মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে শুক্রবার জেল হেফাজতে পাঠায় আদালত। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে ফের ডেকে পাঠায় সিবিআই। দিল্লিতে, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমে ঝড় তোলে কংগ্রেস। আর সেই দিনই, দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে দু’জনের বৈঠক হয়। বিকেল সাড়ে চারটেতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ১৮৩ নম্বর সাউথ অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে, বিকেল সোয়া চারটে নাগাদই সাত নম্বর লোককল্যাণ মার্গে, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদি-মমতা প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে বৈঠক চলে। 


জানা গেছে, বৈঠকে দ্রুত রাজ্যের বকেয়া টাকা মেটানোর দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজ্যের বিস্তারিত বকেয়ার হিসেব পেশ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘কেন্দ্রের কাছে ১ লক্ষ ৯৬৮ কোটি টাকা পায় রাজ্য। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ৬ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা , প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৯ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা, সমগ্র শিক্ষা মিশনে ১৫ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাবদ ৭৪৩ কোটি টাকা, মিড ডে মিলের ১৭৪ কোটি টাকা, স্বচ্ছ ভারত মিশনে ৩৪৪ কোটি টাকা, বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের দুর্যোগের ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি এবং ইয়াস-দুর্যোগের ৪ হাজার ২২ কোটি বকেয়া।’