কলকাতা : ফি বছর পয়লা মে পালিত হয় মে দিবস (May Day)। শ্রমিকদের কৃতিত্ব ও অবদানকে সম্মান জানিয়ে এই দিনটি উদযাপন করা হয়। দিনটি শ্রমিক-শ্রেণির জন্য উৎসর্গ করা হয় এবং তাঁদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে উৎসাহিত করা হয়। এটি শ্রম দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস ( International Workers' Day) নামেও পরিচিত।


শুধু ভারতেই নয়, কিউবা-চিনের মতো দেশেও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত হয়। এই দিনটি পালনের প্রধান লক্ষ্য, শ্রমিক-শ্রেণির কঠোর পরিশ্রমকে স্বীকৃতি দেওয়া, তাঁদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তোলা এবং শোষণের হাত থেকে তাঁদের সুরক্ষিত করা। তাঁদের কল্যাণ ও অগ্রগতির জন্য যে সুযোগ রয়েছে সে সম্পর্কে শ্রমিকদের সচেতন করে তোলা ।


ইতিহাস ও তাৎপর্য-


ঊনবিংশ শতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমিক ইউনিয়ন আন্দোলনের মাধ্যমে মে দিবসের শুরুর কথা জানা যায়। মার্কসবাদী আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক কংগ্রেস ১৮৮৯ সালে একটি রেজোলিউশন গ্রহণ করে। তাতে ঠিক হয়, কর্মীদের দিনে আট ঘণ্টার বেশি কাজ করতে বাধ্য করা যাবে না। এর পরে এটি একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে।


ফ্রান্সের শ্রমিকদের জন্য প্রতি বছর ১ মে, 'আন্তর্জাতিক ঐক্য ও সংহতির শ্রমিক দিবস' হিসাবে উৎসর্গ করা হয়।


১৮৮৪ সালে, আমেরিকান ফেডারেশন অফ অর্গানাইজড ট্রেডস অ্যান্ড লেবার ইউনিয়ন আট ঘণ্টা কর্মদিবসের জন্য আহ্বান জানায়। এটি একটি সাধারণ ধর্মঘট এবং হেইমার্কেট (শিকাগো) হিংসার দিকে নিয়ে যায়। যা শেষ পর্যন্ত সারা বিশ্বের অনেক দেশকে আট ঘণ্টা কর্মদিবসের দিকে নিয়ে যায়।


ভারতে আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস- 


ভারতে প্রথম মে দিবস পালিত হয়েছিল ১ মে, ১৯২৩। তৎকালীন মাদ্রাজে (বর্তমানে চেন্নাই)। হিন্দুস্তান লেবার কিষান পার্টি এর আয়োজনে করেছিল। ভারত-সহ ৮০টির বেশি দেশে পালিত হয় মে দিবস। মে দিবস আবার "মহারাষ্ট্র দিবস" ও "গুজরাত দিবস" হিসেবেও পালিত হয়।


কীভাবে মে দিবস উদযাপিত হয় ?


এই দিনটি অনেক দেশ জাতীয় ছুটি। শ্রমিকদের অধিকারের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শ্রমিক অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন মাধ্যমে বার্তাও দেওয়া হয়।