কলকাতা: পেট্রল-ডিজেল, রান্নার গ্যাস, খাবার-দাবার, তেল—কিছুই বাদ যায়নি মূল্যবৃদ্ধির প্রকোপ থেকে। এ বার দাম বাড়তে চলেছে ওষুধেরও (Medicine Price Hike)। প্রায় সাড়ে ৮০০  ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে বলে দিল্লি সূত্রে খবর। এর মধ্যে রয়েছে জীবনদায়ী এবং প্যারাসিটামলের মতো অত্যাবশ্যক ওষুধও (Paracetamol Price)। আগামী মাস থেকেই মহার্ঘ্য হতে চলেছে ওষুধ। তাতে সরকারের তরফে সিলমোহরও পড়ে গিয়েছে।


কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রকের অধীনস্থ ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি জানিয়েছে, গত আর্থিক বছরে ওষুধের পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হারের সূচক ১০.৮ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছে এনপিপিএ। ফলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এর প্রভাব পড়তে পারে ওষুধের বাজারে। বিভিন্ন জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে।


প্যারাসিটামল, পেইনকিলার, অ্যান্টিবায়োটিকের মূল্যবৃদ্ধি


দিল্লি সূত্রে খবর, ওষুধের দাম ১০ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে। এর মধ্যে জ্বর, উচ্চ রক্তচাপ, ত্বকের ওষুধ, রক্তাল্পতার ওষুধ যেমন রয়েছে, তেমনই প্যারাসিটামলের মতো সর্বাধিক ব্যবহৃত ওষুধও সামিল। এ ছাড়াও যন্ত্রণা উপশমের ওষুধ এবং অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধেরও দাম বাড়তে পারে। অতিমারির ধাক্কা মোটামুটি থিতিয়ে আসার পর থেকেই ওষুধ সংস্থাগুলির তরফে দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল বলে খবর।


আরও পড়ুন: Rampurhat Fire: 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে উঠেছিলেন, আজ সন্ত্রাস করেই ক্ষমতায়', মমতাকে তীব্র আক্রমণ অধীরের


এ ছাড়াও শেডিউল ওষুধের দামও বাড়ছে। শেডিউল ওষুধ বলতে জটিল, গুরুতর এবং প্রাণঘাতী রোগের ওষুধকে বোঝানো হয়। ওষুধ সংস্থাগুলির এই সমস্ত ওষুধের দাম বাড়ানোর অনুমতি নেই,  বরং সরকারি অনুমোদনের প্রয়োজন।


ওষুধের দাম বাড়ানোয় কেন্দ্রকে আক্রমণ মমতার


সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সাড়ে ৮০০ ওষুধের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। গত পাঁচ দিনে কতবার গ্যাসের দাম বেড়েছে? উত্তরপ্রদেশে জেতার পর  মোদি সরকারের রিটার্ন গিফট। পেট্রলের দাম পাঁচদিনে পাঁচ বার বাড়ল। ডিজেলের দাম পাঁচ দিনে পাঁচ বার বাড়ল।” এই মূল্যবৃদ্ধির দিকে যাতে সাধারণ মানুষের নজর না যায়, তার জন্যই ইচ্ছাকৃত ভাবে অশান্তির আবহ তৈরি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মমতা।