নয়াদিল্লি: 'গোপন কথাটি রইল না গোপনে'। সাইবার ক্রাইমের দুনিয়ায় এবার গোপন ফোন নম্বর উঠছে নিলামে। সম্প্রতি ক্লাবহাউজ অডিও অ্যাপের তথ্য ফাঁসের দাবি করেছেন সাইবার সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ জিতেন জৈন।


পেগাসাসের ফোনে আঁড়িপাতা নিয়ে তোলপাড় দেশ। নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে 'ডার্ক ওয়েব'। সম্প্রতি ডার্ক ওয়েব নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ জীতেন জৈন। ট্যুইট করে তিনি জানিয়েছেন, লক্ষাধিক ক্লাবহাউজ ইউজারদের ডেটাবেস হ্যাক করা হয়েছে। তাঁদের ফোন নম্বর বিক্রি চলছে ডার্ক ওয়েবে।


সবচেয়ে চিন্তার বিষয়, ফোন নম্বরের সঙ্গে সঙ্গে অনেকের ফোনবুকের তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে। যার ফলে ক্লাবহাউস অ্যাপে লগ ইন না করলেও আপনার ফোন নম্বর চলে যেতে পারে প্রতারকদের হাতে। তবে জৈন যাই বলুক না কেন, এই খবর এখনও নিশ্চিত করেনি ক্লাবহাউস। এদিকে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন 'ইন্ডিপেন্ডেন্ট সিকিউরিটি রিসার্চার' রাজশেখর রাজোরিয়া। তাঁর মতে, নাম ছাড়াই এই ফোন নম্বরগুলি বিক্রি করছেন হ্যাকাররা।


সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজোরিয়া বলেন, 'এই খবর ভুয়ো হতে পারে। কারও মোবাইল নম্বর বের করা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। তবে তাঁর ফটো, নাম অন্য কোনও ডেটা পায়নি হ্যাকাররা।' তবে এই প্রথমবার নয়। অতীতেও ক্লাবহাউস অ্যাপের ডেটা লিক নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। গত ফেব্রুয়ারিতেই এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। তাঁদের অভিযোগ, গোপনে এই ডেটা চিন সরকারের কাছে বিক্রি করছে ক্লাবহাউজ।


স্ট্যানফোর্ড ইন্টারনেট অবজারভেটরি (SIO) দাবি করে, সাংহাইয়ের রিয়েলটাইম এনগেজমেন্ট সফটওয়ার 'আগোরা' এই কাজের সঙ্গে জড়িত। এরাই ক্লাব হাউজকে 'ব্যাক এন্ড সাপোর্ট' দিয়ে থাকে। সম্প্রতি নিজেদের অ্যাপ নিয়ে মুখ খুলেছে ক্লাবহাউজ। কোম্পানি জানিয়েছে, দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। এবার বিটা ভার্সন থেকে সবার জন্য দরজা খোলা ক্লাবহাউজের। অপেক্ষার তালিকা বন্ধ করে দিয়েছ কোম্পানি। তাই যে কেউ এখন তাদের অ্যাপে ঢুকতে পারবেন। কোম্পানির দাবি, মে মাসের মাঝামাঝি অ্যান্ড্রয়েডে যাত্রা শুরু করলেও এক কোটি গ্রাহক তৈরি করতে পেরেছে ক্লাবহাউজ।