চাকরির অবসরের পর বদলে যেতে থাকে অনেক কিছুই। বন্ধ হয়ে যায় স্থায়ী রোজগারও। কাজেই এই সময়ে স্থায়ী রোজগারের একটা বিকল্প দরকার। এ দিকে শুরুর দিন থেকেই সঠিকভাবে এই বিনিয়োগ পরিকল্পনা করতে ভুলে যান অনেকেই। আর এই ভুল প্রভাব ফেলে নির্বিঘ্ন অবসরযাপনে। চাকরি পরবর্তী সময়ে নিজেদের জীবন অর্থনৈতিক এবং শারীরিকভাবে সুনিশ্চিৎ করতে এবং দ্বিধাহীন অবসর কাটাতে কয়েকটা ভুল শুধরে নিন আজই। সঞ্চয়ের সময়ে কোন দিকগুলো মাথায় রাখবেন তা বিস্তারিত জানাচ্ছে ETNOWNEWS.COM। জেনে নিন।


বিনিয়োগে দেরি
সঠিক সময়ে পরিকল্পনার অভাবে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত ৪০-এর কোটায় গিয়ে অবসর জীবনের পরিকল্পনা শুরু করেন বেশিরভাগ। ততদিনে পরিস্থিতি কিন্তু অনেকটাই হাতের বাইরে। সন্তান-সন্ততির ভবিষ্যতের মতো মাথায় জাঁকিয়ে বসেছে একাধিক চিন্তা। এতে অবসর সময়ে প্রবল অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করতে পারে। কাজেই চাকরি জীবন শুরু করার সময় থেকেই অবসরের পরিকল্পনা শুরু করুন। এতে আপনাক সঞ্চয়ও বাড়বে। 


মুদ্রাস্ফীতিকে অবহেলা
অবসর জীবনে অন্যতম  বাধা হিসেবে আসতে পারে মুদ্রাস্ফীতি। অবসরের জন্য জমানো টাকার ওপর মুদ্রাস্ফীতির হানা তৈরি করতে পারে সংকট। কাজেই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সঙ্গে দরকার, মুদ্রাস্ফীতিকে মাথায় রেখে, সঠিক অর্থনৈতিক বিনিয়োগ দরকার। 


স্বাস্থ্যবিমা অগ্রাহ্য


ষাটোর্ধ হলেও স্বাস্থ্যের সমস্যা করবে। কাজেই অবশ্যই সচেতনভাবে স্বাস্ছ্যবিমা বাছুন। সু-স্বাস্থ্যের জন্য সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া অবসরযাপন কষ্টের। একে মহামারী তারওপর প্রত্যেকদিন রোগের প্রকোপে যাতে সতর্ক থাকতে পারেন এই ভেবে স্বাস্থ্যবিমা বানান। সময় থাকতে তাই আজই জরুরি সঠিক স্বাস্থ্যের স্কিমে বিনিয়োগ করুন। 


সঠিক সরকারি ও প্রাইভেট প্রকল্পে বিনিয়োগ 
সঠিক সঞ্চয়ের প্ল্যানিং ছাড়া অবসরজীবন কাটানো সমস্যার। নিজের শখ উদযাপন সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় যোগানের ভারসাম্য বজায় রাখতে সঠিক সরকারি ও বেসরকারি প্রকল্পে বিনিয়োগ দরকার। অবসরজীবিদের জন্য দেশে এরকম নানা উল্লেখযোগ্য সরকারি ও বেসরকারি স্কিম রয়েছে। 


এছাড়াও সময়ের সঙ্গে নিজের অবসরজীবনের প্ল্যান বা Retirement Plan আপডেট দরকার। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দরকার প্রয়োজনীয় বদল। এ ছাড়াও চাকরির প্রথম কয়েকটি বছর দরকার সঠিক সেভিংস প্ল্যান। খেয়াল রাখবেন সেভিংস থেকে আগে ভাগে টাকা তুলবেন না।