নয়াদিল্লি: প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কেরল। জল বিপজ্জনক মাত্রায় বেড়ে যাওয়ার কারণে পেরিয়ার নদীর ওপর ইদামালায়ার বাঁধের ২টি লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও খোলা হয়েছে আরও একটি বাঁধের লকগেট। ফলে আরও এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। ইদুক্কিতেও জল বেড়ে বাঁধের মাথা ছুঁইছুঁই। ফলে সেখানেও লকগেট না খুললে আরও বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে কেরলে বন্যা পরিস্থিতির ফলে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
এর্নাকুলাম শহর জলমগ্ন। শহরের অধিকাংশ জায়গায় কোমর সমান জল। সেই জলের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। নৌকা ছাড়া যাতায়াতের উপায় নেই। দুধ, জল, খাবার নৌকায় করে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের কাছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। প্রতিবছর ১ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত যা বৃষ্টি হয়, তা থেকে চলতি বছরে ১৪২ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতিতে কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন। সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর আবেদন, দুর্যোগ পরিস্থিতিতে এমন জায়গায় আশ্রয় নিন যা নিরাপদ। রাজ্যেজুড়ে ২৪০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে, যেখানে ২ হাজার ৫৪১টি পরিবারের ৯ হাজার ৮১ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: India Corona Update: গত সাত মাসে সর্বনিম্ন, দেশে কমল দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
আরও পড়ুন: Lakhimpur Kheri : লখিমপুর খেরির ঘটনায় বিজেপি নেতা সহ গ্রেফতার আরও চার
এদিকে প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড। নৈনিতাল লেকের জল রাস্তায়। এর জেরে নৈনিতালের বহু রাস্তা, বাড়িঘর জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। গতকাল বদ্রিনাথে জাতীয় সড়কে জলের তোড়ের মধ্যে একটি গাড়িতে কয়েকজন আটকে পড়েন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের কর্মীরা। হলদওয়ানিতে গাউলা নদীর সেতুর ওপর দিয়ে জল বইছে। সেই রাস্তায় আসছিলেন এক মোটরবাইক আরোহী। স্থানীয় মানুষজন সতর্ক করায় তিনি আর সেতুতে না উঠে ফিরে যান।
আরও পড়ুন: সম্প্রীতি রক্ষার্থে বাংলাদেশের অশান্তির আঁচ কমাতে আর্জি এপার বাংলার বিশিষ্টজনদের