নয়াদিল্লি : গুজরাত তাঁর শিকড়। নরেন্দ্র মোদির ( Narendra Modi) ১২ বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্বকালে তিনিই ছিলেন গুজরাতের (Gujrat ) অন্যতম প্রভাবশালী নেতা। নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রিত্ব কালেও তিনিই সরকারের অন্যতম স্তম্ভ। মোদির সঙ্গে ছায়ার মতো তিনি ছিলেন, আছেন। তিনি, অমিত অনিলচন্দ্র শাহ (Amit Shah ) । ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গুজরাত নিয়ে নানা প্রশ্নে তিনি অকপট এবিপি আনন্দ-এ। 
গুজরাত হিংসা নিয়ে কথা উঠতেই শাহ জানালেন, গুজরাত হিংসা নিয়ে মোদির বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খারিজ  হয়ে গিয়েছে। তাঁর মতে, গোটাটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল, এটা তার প্রমাণ। তিনি বললেন, মোদিজীর ছায়াসঙ্গী হিসেবে তাঁকে এই মিথ্যা অভিযোগের যন্ত্রণা ভোগ করতে দেখেছেন কাছ থেকে। তাঁর মতে, কিছু লোক এর পিছনে ছিলেন। বিজেপি সরকারের উপর দাগ এই নির্দেশের পরে মুছে গিয়েছে। 
২০১০ সালের ২৫ জুলাই অমিত শাহ সোহরাবুদ্দিন মামলায় গ্রেফতার হন। অমিত শাহর দাবি, তাঁকে গ্রেফতার করার পর, কোনও ধর্না হয়নি। ‘আমরা সর্বদা আইনের পক্ষে’, বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর মতে, গুজরাত হিংসা নিয়ে মোদির বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খারিজ হয়ে গিয়েছে। 'এবার মোদিজীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত’।
যদিও গুজরাতে হিংসার কথা তিনি অস্বীকার করেননি।  বললেন, ২০০২-তে হিংসা হয়েছিল, এটা অনস্বীকার্য। 'রাজনৈতিক ভাবাদর্শ আছে এমন সাংবাদিক ও এনজিও-রা এই অভিযোগ প্রচার করেছিল, হিংসা তদন্তে সিট গঠন আদালতের নির্দেশ ছিল না। এনজিও-র সিট আবেদনের ভিত্তিতে সায় দিয়েছিল গুজরাত সরকার। আমাদের কিছু লুকনোর ছিল না, তাই সিট-আর্জিতে সায় দেওয়া হয়েছিল।’
তাঁর অভিযোগ বিরোধীরা চাঞ্চল্য তৈরি করার জন্য, মিথ্যা প্রমাণ-তথ্য দেয়। 'আদালত আজ বলছে, বারবার শান্তির আবেদন করেছিলেন তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী’। শাহের দাবি, ‘ট্রেন জ্বালানোর ঘটনা ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সেনা ডাকতে কোনও দেরি হয়নি, এর রেকর্ড আছে’। 
উল্টে কংগ্রেস সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে তাঁর প্রশ্ন, ‘দিল্লিতে এত সেনা আছে, তাহলে ’৮৪-তে এত শিখ মারা গেলেন কেন? শিখ হিংসায় জড়িতরা, আজ এত কথা বলছেন?’
তাঁর দাবি, ‘বিরোধী-সংবাদমাধ্যম-এনজিও-রা আমাদের বিরুদ্ধে প্রচার করেছে। সিটের উপর কোনওভাবেই প্রভাব খাটানো হয়নি। আইনি লড়াই লড়তে আইনজীবীদের মাত্রাতিরিক্ত টাকা দেওয়া হয়নি। ট্রেন জ্বালানোর পর সমাজে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়’।