ভোপাল: পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বেড়েই চলেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই টান পড়েছে সাধারণ মানুষের পকেটে। জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বাজারে। পরিবহণ খরচ বেড়ে যাওয়ায় মাছ থেকে সব্জি, সবকিছুর দাম চড়া। পকেটে টান পড়ায় সঙ্কটে সাধারণ মানুষ। এরইমধ্যে মধ্যপ্রদেশের পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়নমন্ত্রী মহেন্দ্র সিংহ সিসোদিয়ার মন্তব্য, লোকজনের আয় বাড়লে একটু-আধটু মূল্যবৃদ্ধি তো মেনে নেওয়াই উচিত। তিনি এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, সরকার তো আর নাগরিকদের সব কিছু নিখরচায় দিতে পারে না।
মহেন্দ্র সিংহ সিসোদিয়া বলেছেন, লোকজনকে বুঝতে হবে যে, যদি আমাদের আয় বাড়ে, তাহলে নিশ্চিতভাবে কিছুটা মূল্যবৃদ্ধি মেনে নিতে হবে। এটা একেবারেই বাস্তব কথা।
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে আমআদমিকে স্বস্তি দিতে মধ্যপ্রদেশ সরকার ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স বা ভ্যাট কমানোর কথা বিবেচনা করছে কি না, এই প্রশ্ন করা হয়েছিল মন্ত্রীকে। এর উত্তরে তিনি বলেন যে, সরকার তো সবকিছু নিখরচায় দিতে পারে না। পেট্রো পণ্যে কর আরোপ করে সরকার রাজস্ব পায়। আর এই অর্থ জনস্বার্থমূলক সরকারি প্রকল্পগুলিতে ব্যয় করা হয়।
সিসোদিয়া বলেছেন, এটা একেবারেই ভেবে নেওয়া উচিত নয় যে, পেট্রোল-ডিজেলের দাম ১০ বছর আগেও যা ছিল, এখনও তাই থাকবে। ওই সময়ের যে বেতন ছিল ৬ হাজার। এখন তা বেড়ে ৫০ হাজারে পৌঁছে গিয়েছে।
মন্ত্রী বলেছেন, মানুষের আয় বাড়েনি? সরকার তো সবকিছু বিনামূল্যে দিতে পারে না। মানুষকে বুঝতে হবে যে, যদি আয় বাড়ে, তাহলে মূল্যবৃদ্ধিও মেনে নিতে হবে। মন্ত্রীর আরও দাবি, বিগত কয়েক বছরে সমাজের সর্বস্তরের মানুষেরই আয় বেড়েছে।
মন্ত্রী বলেছেন, আগে আমাদের ঘরে ঘরে একটি মোটরসাইকেল থাকত, যা গৃহস্বামীর কাছে থাকত। এখন অনেকের কাছেই গাড়ি রয়েছে। এতে পেট্রোল ও ডিজেলের ব্যবহার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
আর এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসকেও নিশানা করেছেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি শাসিত সরকারের মন্ত্রী সিসোদিয়া। তিনি বলেছেন, দেশে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে কি মূল্যবৃদ্ধি ছিল না? মূল্যবৃদ্ধি কি শুধু নরেন্দ্র মোদির আমলেই হয়েছে?আমাদের মেনে নিতে হবে যে, এটি একটি চক্রের মতো, যা অবিরাম ঘুরে যায়।