মুম্বই: বুধবার থেকে মহারাষ্ট্রের অ্যারে কলোনিতে দাপিয়ে বেড়িয়েছে চিতাবাঘ। সম্প্রতি সংবাদসংস্থা এএনআই যে ভিডিও প্রকাশ করেছে তা দেখে শিউরে উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়া। চিতাবাঘ ও বৃদ্ধার সেই লড়াইয়ের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপর মোট ৭ জনকে জখম করেছে প্রাণীটি। অবশেষে হিংস্র প্রাণীটিকে ধরতে পারেন বনদফতরের কর্মীরা।
রাউন্ড ফরেস্ট অফিসার নারায়ণ মানে বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা চিতাবাঘ যেটি অ্যারে কলোনিতে সাতজনকে আক্রমণ করেছিল, শুক্রবার ভোরে সেটি আটকা পড়ে। তিনি এও জানান, চিতাবাঘটিকে আটকাতে বন দফতরের আধিকারিকরা ওই কলোনিতে চারটি খাঁচা বসিয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে শুক্রবার ভোরে সাড়ে ৫টার দিকে চিতাবাঘটি পাতা ফাঁদে পা দেয়। বুধবার ৫৫ বছরেনর এক মহিলা ও ১৯ বছর বয়সি একটি ছেলেকে আক্রমণ করে। যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছিল, সেখানে দেখা যায়, রাতের অন্ধকারের মধ্যে বাড়ির একটি গাছের আড়ালে গা ঢাকা দিয়েছিল চিতাবাঘটি৷ এরপর এক বৃদ্ধা লাঠিতে ভর দিয়ে এসে উঠোনের মধ্যে একটি উঁচু জায়গায় বসেন। তখনও তিনি জানতেন না কী ভয়াবহ বিপদ অপেক্ষা করে রয়েছে তার জন্য।
আচমকাই গাছের আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে চিতাবাঘটি আক্রমণ করে বৃদ্ধাকে। একবার নয় বেশ কয়েকবার৷ শিকার বাগে না পেয়ে বেগতিক দেখে চম্পট দেয় ওই চিতাবাঘটি। ইতিমধ্যে বৃদ্ধার প্রাণ বাঁচানোর সেই চিৎকারে ছুটে আসে বাড়ির লোক, প্রতিবেশীরা। মহিলাকে এরপর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তবে তাঁর আঘাত গুরুতর নয় এমনটাই স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল।
ফরেস্ট অফিসার জানান, চিতাবাঘটিকে চিকিৎসার জন্য সঞ্জয় গান্ধী জাতীয় উদ্যানের উদ্ধার কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সঞ্জয় গান্ধী ন্যাশনাল পার্কের পরিচালক জি মল্লিকার্জুন জানান, তাঁদের কাছে ক্যামেরার ছবি ছিল এবং ভিডিও ফুটেজ ছিল। চিতাবাঘটিকে আবার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এমনটাই বলা হয়েছে।