মুম্বই: গত ২৭ জুলাই ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত এক ৬৩ বছরের মহিলার মৃত্যু হল। করোনার ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু হল মুম্বইয়ে। জানা গিয়েছে ওই মহিলার একাধিক কো মর্বিডিটি ছিল। ডায়াবেটিসেও আক্রান্ত ছিলেন। মুম্বইয়ে এই প্রথম ডেল্টা প্লাসে মৃত্যু হল। 


তবে মহারাষ্ট্রে এই ঘটনা দ্বিতীয়বার। মুম্বইয়ে যে সাত জনের দেহে ডেল্টা প্লাস ধরা পড়েছিল, এই মহিলাও তাঁদের মধ্যে ছিলেন। চিন্তা বিষয় হল মহিলা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই নিয়েছিলেন। তার পরেও বাঁচানো যায়নি। কোনও ট্র্যাভেল হিস্ট্রিও নেই মহিলার।  


অক্সিজেন সাপোর্ট, স্টেরয়েড এবং রেমডেসিভিরও দেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। হিলার নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। বুধবার সেই রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে। তখনই জানা গিয়েছে ডেল্টা প্লাসের অস্বস্তিত্বের কথা।মহিলার আরও দুই আত্মীয় ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত বলেও জানা গিয়েছে।


মুম্বইতে মোট সাতজনের শরীরের করোনার ডেল্টা প্লাস প্রজাতির হদিশ মিলেছিল যারা প্রত্যেকেই টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেছিলেন। ৬৩ বছরের এই মহিলাও তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন। ঘটনার খবর পেতেই কনট্যাক্ট ট্রেসিং শুরু করেছে বৃহন্মুম্বই পুরসভা। 


বুধবার মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে সে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনার ডেল্টা প্লাস প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়েছে ৬৫ জন। অগাস্টের ৮ তারিখেও এই প্রজাতিতে সংক্রমণ ছিল ৪৫। তিন দিনের মধ্যেই আক্রান্তে অনেকটাই লাফ দিয়ে বৃদ্ধি হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে সাতটি মুম্বই, তিনটি পুনে এবং বাকি ছ'টি অন্যান্য জেলা থেকে রিপোর্ট করা হয়েছে। 


ডেল্টা প্লাস সংক্রমণের মোট কেসের মধ্যে জলগাঁও জেলায় সর্বোচ্চ ১৩টি রেকর্ড করা হয়েছে। এরপরে রত্নগিরিতে রয়েছে ১২টি এবং মুম্বইয়ে ১১টি। রাজ্যের ৬৫টি ডেল্টা প্লাস প্রজাতিতে আক্রান্তের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ, ৩৩ জন মহিলা এবং সাত জন ১৮ বছরের কম বয়সী রয়েছে। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানান হয়েছে, "জেনেটিক সিকোয়েন্সিং টেস্ট করে দেখা গিয়েছে যে রাজ্যের ৮০ শতাংশেরও বেশি নমুনায় ডেল্টা ভেরিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ৬৫টি নমুনা ডেল্টা প্লাস পরীক্ষায় পজিটিভ রেজাল্ট দিয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে ডেল্টা প্লাস হালকা থেকে মাঝারি অসুস্থতা নিয়ে এসেছে। "