নয়াদিল্লি: লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) সঙ্গে নিজের সুসম্পর্কের কথা তুলে ধরেছেন একাধিক বার। কংগ্রেসকে (Congress) আক্রমণ করতেও এ বার সেই মঙ্গেশকর পরিবারকে টেনে আনলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তাঁর অভিযোগ, বিনায়ক দামোদর সাভারকরের (Vinayak Damodar Savarkar) কবিতা পাঠ করায় অল ইন্ডিয়া রেডিও থেকে অপসারণ করা হয়েছিল লতার ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরকে (Hridaynath Mangeshkar)। তাই কংগ্রেসের মুখে বাক স্বাধীনতা (Freedom of Speech) নিয়ে বড় বড় কথা শোভা পায় না।


সোমবার লোকসভায় বিরোধীদের অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেন মোদি। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় ভাষণ দেন তিনি। সেখানেই সদ্য প্রয়াত লুর সম্রাজ্ঞীর পরিবারের কথা উল্লেখ করেন মোদি। বলেন, “লতা মঙ্গেশকরজির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ দেশ। কিন্তু একটা কথা বলি আপনাদের, গোয়ায় কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন ওঁর ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর বীর সাভারকরের কবিতার কিছু অংশ আবৃত্তি করেছিলেন। তার জন্য আট দিনের মাথায় অল ইন্ডিয়া রেডিও থেকে তাঁকে অপসারণ করা হয়।  ”


সামনেই গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে মুখোমুখি কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াইয়ে বিজেপি। তার আগে এ দিন সংসদে হৃদয়নাথকে ‘গোয়ার গর্বিত সন্তান’ হিসেবেও উল্লেখ করেন মোদি। বলেন, “এক সাক্ষাকারে সাভারকরজির সঙ্গে নিজের সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করেছিলেন হৃদয়নাথ। সাভারকর ওঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আমার কবিতা কেন আবৃত্তি কর? জেলে যেতে চাও ’ তার পরেও কবিতা আবৃত্তি করেন হৃদয়নাথজি। এবং তার আটদিনের মাথায় তাঁকে অপসরাণ করা হয়।”


আরও পড়ুন: UP Election BJP Manifesto: বিনামূল্যে গ্যাস-স্কুটি, কৃষকদের জন্য বিদ্যুৎ-ফ্রি, উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনী ইস্তেহারে ঢালাও প্রতিশ্রুতি বিজেপির


জরুরি পরিস্থিতি চলাকালীন ইন্দিরা গাঁধীর সঙ্গে কিশোর কুমারের সংঘাতকেও টেনে আনেন মোদি। তিনি বলেন, “জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গাঁধীর সামনে মাথা নোয়াননি কিশোর কুমার। তার জন্য রেডিয়োয় ওঁর গান গাওয়াই নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। আসলে কংগ্রেস কখনও পরিবারতন্ত্রের ঊর্ধ্বে কিছু ভাবে না। পরিবারতান্ত্রিক দলই গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক। আর ওই পরিবার যখন সর্বেসর্বা হয়ে ওটে, তখন সবার আগে প্রতিভাকেই প্রথম হত্যা করা হয়।”


আগেও একাধিক বার ‘কংগ্রেস মুক্ত ভারত’ গড়ার দাবি উঠেছে বিজেপি-র তরফে। এ দিন মোদি বলেন, “কংগ্রেস না থাকলে দেশটা কেমন হতে পারত, মানুষ তা নিয়ে ভাবেন। ভারত ইন্দিরা এবং ইন্দিরাই ভারত, এই চিন্তাতেই আজও আটকে রয়েছে ওরা। আজকাল যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলে কংগ্রেস। কিন্তু এক সময় অতি সামান্য কারণে মুখ্যমন্ত্রীদের সরিয়ে দেওয়া হতো। আমাদের চিন্তা-ভাবনা কংগ্রেসের মতো নয়।”