নয়া দিল্লি : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) আজ তলব করা হলেও যাচ্ছেন না রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে বিদেশে থাকায় ইডি-র কাছে ৫ জুনের পর সময় চেয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ। বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায় সনিয়া ও রাহুল গান্ধীকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, রাহুল বিদেশে রয়েছেন। ৫ জুন দেশে ফেরার কথা। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সনিয়া গান্ধীকে ৮ জুন ডেকে পাঠিয়েছে ইডি।


ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সনিয়া এবং রাহুল গাঁধীকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি-র তরফে জানানো হয়েছে, সনিয়া গাঁধীকে ৮ জুন ডেকে পাঠানো হয়েছে। 


শুরু রাজনৈতিক বাগযুদ্ধ-


প্রসঙ্গত, ১০ জুন ১৫টা রাজ্যের ৫৭টা রাজ্যসভা আসনে ভোট রয়েছে। তার আগে কংগ্রেসের দুই শীর্ষনেতাকে ইডি’র তলব ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বাগযুদ্ধ। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে, কংগ্রেস কার্যত চ্যালেঞ্জের সুরে জানায়, সনিয়া এবং রাহুল নির্দিষ্ট সময়ে ইডি’র মুখোমুখি হবেন। 


২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই ইস্যুতে নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী অভিযোগ করেন, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড নামে যে সংস্থার হাতে সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, তাদের বাজারে ৯০ কোটি টাকা ঋণ ছিল। যার বেশিরভাগটাই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া। ২০০৮ সালে সংবাদপত্রটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। তখন সেই সংস্থাকে মাত্র ৫০ লক্ষ টাকায় অধিগ্রহণ করে কংগ্রেস প্রভাবিত ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান’। এরপরে ৯০ কোটি টাকার ঋণ মকুব করে তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। এরপরই সনিয়া গাঁধী ও রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে প্রতারণা, বেআইনিভাবে সম্পত্তি হস্তগত-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা হয়।


তবে কংগ্রেসের দাবি, মিথ্যে অভিযোগ এনে দলের নেতাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। আসল সমস্যা থেকে নজর ঘোরানোর কারসাজি। এর আগে ইডি-র তরফে মামলাটি বন্ধ করে দেওয়া হলেও, বিজেপি প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে, নতুন আধিকারিক নিয়োগ করে সেটি পুনরায় খুলিয়েছে বলে দাবি কংগ্রেসের।