নয়া দিল্লি : "সীমান্তের পরিস্থিতি গত বছরের তুলনায় ভাল। তবে, পাকিস্তান এখনও সীমানার কাছে জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়ে চলেছে। প্রায় ৩০০-৪০০ জঙ্গি ভারতে ঢোকার জন্য অপেক্ষা করছে। " সেনা দিবসের অনুষ্ঠানমঞ্চে এই কথা বললেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে।


তিনি বলেন, চিনের (China) সঙ্গে উত্তেজনার জেরে গত বছরটা সেনার কাছে চ্যালেঞ্জিং ছিল। সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সম্প্রতি ১৪ তম বৈঠক হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া হয়েছে। 


এর পাশাপাশি সেনায় নারীর সমতার কথা তুলে ধরেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, নারীদের সমান সুযোগ দেওয়ার জন্য বড় পদক্ষেপ নিয়েছে সেনা। এখন তাঁরা উচ্চ পজিশনে পৌঁছতে পারেন এবং বড় দায়িত্বও নিতে পারেন। এবছর এনডিএ-তে মহিলাদের ক্য়াডেট ঢুকবে। সেনা পাইলটের মতো মহিলা পাইলটের অনুমোদন শুরু হবে। 


আরও পড়ুন ; সেনা দিবসে জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ৩ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানের


আজ সেনা দিবস উপলক্ষে দিল্লিতে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে (National War Memorial) শ্রদ্ধা জানান তিন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান। সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে, বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী ও নৌবাহিনীর প্রধান আর হরি কুমার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। 


প্রসঙ্গত,, প্রতি বছর ১৫ জানুয়ারি সেনা দিবস পালিত হয়। এই দিনটিতে দেশের বীর সেনা, যাঁরা দেশের জন্য আত্মবিসর্জন দিয়েছেন, তাঁদের সম্মান জানানো হয়। পদাতিক, নৌ এবং বায়ুসেনার সদর দফতরগুলিতে মহাসমারোহে পালিত হয় এই বিশেষ দিনটি। করোনার জেরে এ বারে বিধিনিষেধ মেনে পালন করা হচ্ছে সেনা দিবস।


১৮৯৫ সালের ১ এপ্রিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠা হয়। কিন্তু ১৯৪৯ সালের ১৫ জানুয়ারি শেষ ব্রিটিশ কম্যান্ডার-ইন-চিফ জেনারেল ফ্রান্সিস বুচার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেএম কারিয়াপ্পার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। কারিয়াপ্পান দেশের প্রথম সেনাপ্রধান। সেই থেকেই ১৫ জানুয়ারি দিনটি সেনা দিবস হিসেবে পালিত হয়।