নয়া দিল্লি : আজ সেনা দিবস। এই উপলক্ষে দিল্লিতে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে (National War Memorial) শ্রদ্ধা জানালেন তিন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান। সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে, বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী ও নৌবাহিনীর প্রধান আর হরি কুমার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এদিকে বিশেষ এই দিনটিতে ট্যুইটারে অভিবাদন জানান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 'ভারতীয় সেনা তাঁদের সাহসিকতা এবং পেশাদারিত্বর জন্যই পরিচিত। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা শব্দ দিয়ে ব্যাখ্যা সম্ভব নয়।' ভারতীয় সেনাদের উদ্দেশে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi)।
আর পড়ুন : 'পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতাই ভারতীয় সেনার পরিচয়', সেনা দিবসে প্রশংসা মোদির
প্রসঙ্গত,, প্রতি বছর ১৫ জানুয়ারি সেনা দিবস পালিত হয়। এই দিনটিতে দেশের বীর সেনা, যাঁরা দেশের জন্য আত্মবিসর্জন দিয়েছেন, তাঁদের সম্মান জানানো হয়। পদাতিক, নৌ এবং বায়ুসেনার সদর দফতরগুলিতে মহাসমারোহে পালিত হয় এই বিশেষ দিনটি। করোনার জেরে এ বারে বিধিনিষেধ মেনে পালন করা হচ্ছে সেনা দিবস।
১৮৯৫ সালের ১ এপ্রিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠা হয়। কিন্তু ১৯৪৯ সালের ১৫ জানুয়ারি শেষ ব্রিটিশ কম্যান্ডার-ইন-চিফ জেনারেল ফ্রান্সিস বুচার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেএম কারিয়াপ্পার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। কারিয়াপ্পান দেশের প্রথম সেনাপ্রধান। সেই থেকেই ১৫ জানুয়ারি দিনটি সেনা দিবস হিসেবে পালিত হয়।
উল্লেখ্য, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫ হাজার মিটার ওপরে বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন হিমবাহতে যুদ্ধ করার নজির রয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনীর। ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধেও এই ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। প্রায় ৯৩ হাজার পাক সেনা আত্মসমর্পণ করেছিল সেবার। দিল্লির ক্যান্টনমেন্টের প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনা দিবস উদযাপনে দ্য আর্মি রেড প্যারেড আয়োজিত হয়। এই গ্রাউন্ডের নামই কে এম কারিয়াপ্পা ময়দান।