Amit Shah on Netaji : নেতাজির যতটা গুরুত্ব পাওয়ার প্রয়োজন ছিল তা তিনি পাননি : অমিত শাহ

আন্দামান ও নিকোবরের পোর্ট ব্লেয়ারে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী...

Continues below advertisement

নয়া দিল্লি : নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর যতটা গুরুত্ব পাওয়ার প্রয়োজন ছিল, ততটা তিনি পাননি। শনিবার এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুধু তাই নয়, অনেক পরিচিত নেতা ও তাঁদের অবদান-কে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা হয়েছিল বলে মত তাঁর।

Continues below advertisement

আন্দামান ও নিকোবরের পোর্ট ব্লেয়ারে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ১৯৪৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর এখানে এসেছিলেন নেতাজি। স্বাধীন ভারতের মুক্তির বাতাস গ্রহণ করেছিলেন। তেরঙা তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু তাঁর প্রতি অবিচার হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এখন সময় এসেছে, ইতিহাসে যেন প্রত্যেকে যথার্থ জায়গা পান। যাঁরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তাঁদের ইতিহাসে গর্বের ঠাঁই পাওয়া উচিত। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামে একটি দ্বীপের নাম করার। 

একই রকম অবিচার হয়েছিলেন সর্দার পটেলের সঙ্গেও, মন্তব্য শাহ-র। তিনি বলেন, সর্দার পটেল যদি দেড় বছরের কম সময়ের মধ্যে ৫৫০-টির বেশি প্রিন্সলি স্টেট-কে ভারতের অংশ না করতেন, তাহলে প্রজাতান্ত্রিক ভারত সম্ভব হত না। প্রত্যেককে স্বাধীন করে ব্রিটিশদের যা করণীয় ছিল তা করে গিয়েছিল। কিন্তু, সর্দার পটেল সব প্রিন্সলি স্টেট-কে ভারতের মধ্যে নিয়ে আসেন এবং একটি শক্তিশালী ভারত গঠন করেন। সর্দার সাহেবও একইভাবে যথার্থ মর্যাদা পাননি, যতটা স্বাধীনতার পর পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়। ভাল কাজ কখনোই লুকানো থাকে না। আজ কেভাডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্দার সাহেবের বিশ্বের সবথেকে বড় মূর্তি স্থাপন করেছেন। যেটা দেখতে গোটা বিশ্ব থেকে লোক আসে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সুভাষবাবু ও সর্দার পটেল স্বাধীনতা আন্দোলনে এমনই দুই ব্যক্তিত্ব ছিলেন। গোটা দেশের উচিত, সুভাষবাবুকে শ্রদ্ধার সাথে মনে রাখা। সেই কারণেই সুভাষবাবু যেখানে তেরঙা তুলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বাধীনতার ৭৫তম বৎসর উপলক্ষে সেখানেই বিশাল আকারের তেরঙা স্থাপন করে পর্যটন গন্তব্য করে তুলেছেন। এই জায়গাটাকে দেশপ্রেম জাগরণের কেন্দ্রস্থলে পরিণত করেছেন। 

 

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola