নয়াদিল্লি: নেতাজির দেহাবশেষ ফিরিয়ে আনা হোক ভারতে। এমনই দাবি জানালেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কন্যা অনিতা পাফ। তিনি জানান, এখন সময় হয়েছে নেতাজির দেহাবশেষ ভারতে ফিরিয়ে আনার। তাঁর আরও দাবি, ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট নেতাজির মৃত্য়ু হয়েছে, এই তথ্যে যাঁদের এখনও সন্দেহ রয়েছে, তাঁদের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা সব উত্তর দেবে।


বলা হয়ে থাকে ১৯৪৫ সালে একটি বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল নেতাজির। তাঁর দেহাবশেষ রাখা রয়েছে জাপানের টোকিওর রেনকোজি মন্দিরে। এই তথ্য অনেকেই মেনে নিতে চাননি। সেই কারণ দেখিয়েই অনিতা পাফ জানিয়েছেন ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমেই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এই সন্দেহ নিরসন করা সম্ভব। 


একটি বিবৃতিতে নেতাজির কন্যা জার্মানি-নিবাসী অর্থনীতিবিদ অনিতা পাফ বলেছেন, স্বাধীনতার স্বাদ পাননি তাঁর পিতা। তাই এখন অন্তত স্বাধীন ভারতের মাটিতে তাঁর দেহাবশেষ রাখা হোক। তিনি বলেন, 'আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন উন্নতমানের ডিএনএ পরীক্ষা করা সম্ভব। যাঁদের নেতাজির মৃত্যু নিয়ে এখনও সন্দেহ হয়েছে তাঁদের প্রমাণ দেওয়ার জন্য রেনকোজি মন্দিরের দেহাবশেষের ডিএনএ পরীক্ষা করা যায়। রেনকোজি মন্দিরের পুরোহিত এবং জাপানের সরকার এই পরীক্ষা করাতে রাজি। নেতাজি মৃত্যুর তদন্তে মুখার্জি কমিশনের নথিতেই এর কথা বলা রয়েছে। নেতাজির জীবনে তাঁর দেশের স্বাধীনতার চেয়ে বেশি গুরত্বপূর্ণ কিছু ছিল না। স্বাধীন ভারতে বসবাস করতে চেয়েছিলেন তিনি। যেহেতু জীবিত অবস্থায় সেই সুযোগ তিনি পাননি, তাই এখন তাঁর দেহাবশেষ অন্তত এই দেশে ফিরিয়ে আনা হোক।'


নেতাজির মৃত্যু-রহস্য:
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Netaji Subhas Chandra Bose) মৃত্যু ঘিরে এখনও বিভিন্ন তত্ত্ব সামনে আসছে। বলা হয়ে থাকে তাইওয়ানে ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। নেতাজি মৃত্যুর কারণ নিয়ে একাধিক কমিশন তৈরি করেছিল ভারত সরকার। তার মধ্যে দুটি কমিশন মেনে নিয়েছে যে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল নেতাজির। অন্যদিকে বিচারপতি এমকে মুখোপাধ্যায় (MK Mukherjee) নেতৃত্বাধীন 'মুখার্জি কমিশন' এটা মানতে চাননি। 


দেশবাসীকেও বার্তা:
অনিতা বসু পাফের (Anita Bose Pfaff) মতে, ভারতে নেতাজিকে বিপুল শ্রদ্ধা করেন অনেকে, ভালবাসেন। সেই কারণেই অনেকে মেনে নিতে চান না যে ওই দিন নেতাজি মারা গিয়েছিলেন। এখন বেশ কিছু তথ্য দেখে এটা জানা যায় যে নেতাজি বিদেশের মাটিতেই মারা গিয়েছিলেন। জাপান তাঁর দেহাবশেষকে আশ্রয় দিয়েছিল। তিন পুরুষ ধরে রেনকোজি মন্দিরের পুরোহিতরা সেটি রক্ষা করে আসছেন বলে জানান অনিতা পাফ। নেতাজির দেহাবশেষ ভারতের মাটিতে ফিরিয়ে আনার জন্য দেশবাসীও যাতে সাহায্য করে সেই ডাকও দিয়েছেন তিনি।


আরও পড়ুন: 'জয় জওয়ান'! ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে গোটা দিন কাটালেন কার্তিক আরিয়ান