ইম্ফল: বিধ্বংসী বন্যায় গোটা অসম যখন বিধ্বস্ত তখন আর এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গেল মনিপুরে (Manipur)।  টুপুলের সেনা ক্যাম্পে ধস (landslide) নামায় জওয়ান (soldier) ও সাধারণ বাসিন্দা (civilian) মিলিয়ে প্রাণ হারালেন অন্ততপক্ষে ২০ জন। তাঁদের মধ্যে ৯ জন জওয়ান দার্জিলিং হিলসের (darjeeling hills)(১০৭ নম্বর টেরিটোরিয়াল আর্মি ইউনিট), টুইট করে জানান পশ্চিমবঙ্গের (west bengal) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের বাসিন্দা এক জওয়ান-সহ ৪৪ জনের খোঁজ নেই। 


যাঁরা চলে গেলেন...


মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশে থাকার আশ্বাসও দেন। পরে একাধিক সূত্রে হতাহতের নাম-পরিচয়ও জানা গিয়েছে। দার্জিলিঙের বাসিন্দা যে ৯ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা হলেন মিলন তামাং, দিবাঙ্কর থাপা, বেঞ্জামিন, মার্কাস গুরুং, সীতারাম রাই, বিশাল ছেত্রী, বিধান রাই ভূপেন রাই এবং লাদুপ তামাং। 
এ ছাড়াও এ রাজ্যের বাসিন্দা দুজনের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে। এক জন সেরিং লেপচা, অন্য জন শঙ্কর ছেত্রী। জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার বাসিন্দা জওয়ান শঙ্কর ছেত্রী নির্মাণকাজের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন বলে খবর।  এ দিকে বুধবারের পর এখনও পর্যন্ত যোগাযোগ করা যায়নি উত্তর ২৪ পরগনার মাটিয়ার ঘোড়ারাস গ্রামের বাসিন্দা সেনা জওয়ান মহিউদ্দিন আহমেদের।  তীব্র উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে পরিবার। 


মৃত্যু অসমের বাসিন্দারও


এদিকে অসমের এক বাসিন্দার মৃত্যুর কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এখনও অসমের ১৬ জন বাসিন্দা নিখোঁজ, আরও জানান তিনি। শুক্রবার শীর্ষ সেনা আধিকারিক ও প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। উদ্ধারকাজে যে কোনও ত্রুটি রাখা হচ্ছে না সে বার্তা দিয়ে টুইট করেন তিনি। মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ও আহতদের পরিবারপিছু ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রী।   


আরও পড়ুন:২০ টাকার চায়ে ৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ, 'অবাক-চা পান' ট্রেনযাত্রীর