নয়াদিল্লি: সুকুমার রায় থাকলে কি  একেই বলতেন 'অবাক চা-পান'?


কোথায় গণ্ডগোল?


বুঝলেন না তো? তা হলে শুনুন।  দিল্লি থেকে ভোপাল যাবেন বলে শতাব্দী এক্সপ্রেসে (shatabdi express) চড়েছিলেন জনৈক যাত্রী (passenger)। ট্রেন চলছিল ট্রেনের মতো। কিন্তু গলা তৃষ্ণায় ফেটে যায়। মানে চায়ের (tea) তৃষ্ণা আর কী। তো ট্রেনের মধ্যে এক পেয়ালা চায়ের অর্ডার দিলেন।  যথাসময়ে সে চলেও এল। কিন্তু তা পান করার আগেই চক্ষু চড়কগাছ যাত্রীর। চায়ের দাম (price)২০ টাকা, অথচ তার উপর সার্ভিস ট্যাক্স (service charge) ৫০ টাকার (50 rupees)। এতো বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড় অবস্থা! 
কোনও গাঁজাখুরি নয়। গত ২৮ জুল দিল্লি-ভোপাল শতাব্দী এক্সপ্রেসে এমনটা যে ঘটেছে সেটা গরমাগরম প্রমাণে ছয়লাপ সোশ্য়াল মিডিয়া। আইআরসিটিসি-র ইনভয়েস। সেখানেই জ্বলজ্বল করছে চায়ের দাম ও সার্ভিস ট্যাক্স। ট্রেনযাত্রী বালগোবন্দি ভার্মা সেই ইনভয়েস টুইট করেছেন। সঙ্গে লেখা, '২০ টাকার চায়ের উপর ৫০ টাকার কর। এত দিন শুধু ইতিহাস বদলাতো, এখন সত্যি দেশের অর্থশাস্ত্র বদলে গিয়েছে।' কটাক্ষ-সমালোচনার বান সোশ্য়াল মিডিয়ায়।


কী বলছে রেলওয়ে? 


রেলওয়ে অবশ্য় কোনও কিছুতে কান দিতে নারাজ। তাদের যুক্তি, যদি কোনও যাত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটার সময়ই আগাম খাবারেরও বুকিং না করেন তা হলে ৫০ টাকা করে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। অর্থাৎ ট্রেনে সফরের সময় কিছু কিনে খেতে হলে ৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। ২০১৮ সালে এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল তারা। বলা হয়েছিল, আগে থেকে বুকিং না করা থাকলে সফরের সময় যদি কোনও যাত্রীর চা, কফিও অর্ডার করেন তা হলেও ৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। অর্থাৎ তাদের হিসেবমতো নিয়মে কোনও ফাঁক নেই। কিন্তু ২০ টাকার চায়ে ৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ দেওয়ার পর যে পানীয়টি জনৈক যাত্রী হাতে পেয়েছিলেন তাতে কি তৃষ্ণা মিটেছিল? নাকি ইনভয়েস দেখে তৃষ্ণা বেড়ে গিয়েছিল তাঁর?
এই অবাক চা-পানের শেষ হল কী ভাবে? কৌতূহলী অনেকেই।


আরও পড়ুন:ইডি-র সামনে বসিয়ে আমাকে বদলাতে পারবেন না, মোদীকে 'বার্তা' রাহুলের