ওয়েনাড: যতই ইডি-র (ED) সামনে বসিয়ে রাখা হোক, তাঁকে বদলানো (change)যাবে না। শুক্রবার হুঙ্কার ওয়েনাডের কংগ্রেস (congress) সাংসদ রাহুল গাঁধীর (rahul gandhi)। সঙ্গে পর্যবেক্ষণ, 'প্রধানমন্ত্রীর (pm) বোধহয় কোনও ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে।'


কেন ক্ষুব্ধ রাহুল?


কটাক্ষের মূল লক্ষ্য যে কেন্দ্রীয় সরকার ও নরেন্দ্র মোদী, তা রাখঢাক না করে বুঝিয়ে দিয়েছেন রাহুল। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় এর মধ্যে পাঁচ দিন কংগ্রেস সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ন্যূনতম বিরতিটুকুও দেওয়া হয়নি রাহুলকে। এ নিয়ে আগেও সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ। বলেছিলেন, প্রশ্নোত্তর চলাকালীন ঘণ্টার পর ঘণ্টা তিনি  কী ভাবে বসে থাকতেন তা জানতে চেয়েছিলেন ইডি আধিকারিকদেরই কেউ কেউ। জবাবে রাহুল বলেন, তাঁর বিপাসনা করার অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু বিষয়টি যে কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্ব এত সহজে দেখছে না, সেটা ফের স্পষ্ট সনিয়াপুত্রের কথায়। 


কী বললেন? 
শুক্রবার ওয়েনাডের সুলতান বাথেরিতে আয়োজিত ইউডিএফ বহুজন সংগমে রাহুল বলেন, 'ভারত সরকার...প্রধানমন্ত্রী মনে করেন আমাকে ইডি-র সামনে দিনপাঁচেক বসিয়ে রাখলেই নিজের ভোল বদলে ফেলব। প্রধানমন্ত্রীর বোধহয় কোনও ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে।' বিজেপির সঙ্গে একই বন্ধনীতে সিপিএম-কেও আক্রমণ করেন রাহুল। তাঁর মতে, দুটি দলই মনে করে হিংসার পথ নিলে মানুষকে ভয় পাওয়ানো যাবে। দুপক্ষেরই ভয়ানক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। ওরা মনে করে হিংসা দিয়ে মানুষকে বদলানো যায়, সমালোচনা ওয়ানাডের সাংসদের। কিন্তু তিনি যে এসবের পরোয়া করেন না, এর পাশাপাশিই সেই বার্তা দিয়েছেন রাহুল। বলেছেন, 'দেশের মানুষের ভালোবাসা  আমার আচার-ব্যবহার, কাজকর্মের গতিপ্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করে। শত্রু বা প্রতিপক্ষদের দ্বারা কখনওই তা নিয়ন্ত্রিত হতে পারে না।'
গত সপ্তাহে ওয়েনাডে রাহুলের অফিসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছিল বাম ছাত্র সংগঠন  এসএফআইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটির নিন্দা করে কড়া পদক্ষেপ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কেরলের বাম মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। কিন্তু তার পরও শান্ত হয়নি কংগ্রেস। এবার কেরলে দাঁড়িয়ে বিজেপি ও বামেদের একযোগে সমালোচনা খোদ রাহুলের। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে এতে হিতে বিপরীত হবে না তো? সংশয় থাকছেই।


আরও পড়ুন:'মনিপুরের ভূমিধসে নিহতদের মধ্যে দার্জিলিংয়ের ৯ জওয়ান'! শোকপ্রকাশ মমতার