ভুবনেশ্বর : করোনা সংক্রমণ (Corona Virus) এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে দেশে। স্কুল-কলেজেও শুরু হয়েছে স্বাভাবিক পঠন-পাঠন। কিন্তু, দীর্ঘ অতিমারীর জেরে বহু মানুষের আর্থিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে পঠন-পাঠনেও। এই পরিস্থিতিতেই ওড়িশা সরকারের (Odisha Government) রিপোর্ট শোরগোল ফেলে দিয়েছে। দুই বছরের অতিমারী-পর্বের আতঙ্ক কাটিয়ে পঠন-পাঠন শুরু হলেও, ক্লাসরুমে ফেরেনি প্রায় ৩০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী। এইসব ছাত্র-ছাত্রীকে কীভাবে আবার স্কুলে ফিরিয়ে আনা যায় তা নিয়ে জেলাশাসকদের কাজ করতে বলেছে নবীন পটনায়েক সরকার।


জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের জমা দেওয়া বিভিন্ন স্কুলের উপস্থিতির পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখে দেখা গেছে যে, প্রায় ৭০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী ক্লাসে আসছে। এক বিবৃতিতে এমনই জানিয়েছেন স্কুল ও গণশিক্ষা দফতরের সচিব বি পি শেঠি।


পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মানকালগিড়ি, বৌধ, গজপতি, সম্বলপুর ও নওয়াপাড়ার মতো জেলায় প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত উপস্থিতির হার রাজ্যে গড়েরও কম। এমনকী মানকালগিড়ি, বৌধ, সম্বলপুর ও নওয়াপাড়ায় ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উপস্থিতির হারও খারাপ। 


শিক্ষা দফতরের সচিব জানিয়েছেন, গজপতি, বোলানগির, বরাগড়, সোনেপুর, নওয়াপাড়া, কটক, খড়দা, কোরাপুত, গঞ্জাম, বৌধ, মালকানগিড়ি, কেওনঝড় ও সম্বলপুরের সেকেন্ডারি সেকশনে উপস্থিতির হার রাজ্যের-গড়ের কম। অন্যদিকে, গজপতি, সোনেপুর, বরাগড়, কান্দামাল ও নওয়াপাড়ায় হায়ার সেকেন্ডারি স্তরে সার্বিক উপস্থিতির হার খুবই কম। যা চিন্তার বিষয়।


তিনি আরও বলেন, এই পরিসংখ্যান দেখার পর আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে যে, এই ছাত্র-ছাত্রীরা কী করছে। এমনও হতে পারে, যারা ক্লাসে আসছে না, তারা হয়তো স্কুলছুট। বা, বাবা-মায়ের সঙ্গে অন্যত্র চলে গেছে। এও হতে পারে যে, অতিমারী পর্বে শিডিউল ঠিকঠাক না থাকায় পড়াশোনার ওপর ভাল লাগা হারিয়েছে। অন্য কোনও কারণও হতে পারে।


এই পরিস্থিতিতে বি পি শেঠি জেলাশাসকদের জানিয়েছেন, এই ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসরুমে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের স্থান-ভিত্তিক নির্দিষ্ট কৌশল নিতে হবে।