Omicron: দেশে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রমেন বিপদ বেড়েই চলেছে। ওমিক্রনকে কোনও কারণেই হাল্কাভাবে নেওয়া যাবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এরইমধ্যে নয়া এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন ওড়িশার বলাঙ্গির জেলার ৫০ বছরের এক বাসিন্দা। ওড়িশায় এই প্রথম কোনও ওমিক্রন আক্রান্তের মৃত্যু ঘটনা ঘটল। দেশে এই নিয়ে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে দ্বিতীয় মৃত্যুর ঘটনা। এর আগে রাজস্থানের উদয়পুরে এক বয়স্ক ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন।
ওড়িশার সিডিএমও স্নেহলতা সাহু বলেছেন, ওড়িশায় এই প্রথম কোনও ওমিক্রন আক্রান্তের মৃত্যু হল। তিনি জানিয়েছেন, ৫০ বছরের ওই মহিলাকে ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার পর বলাঙ্গিরের ভীমা ভোজ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁর বুরলার মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। ২৩ ডিসেম্বর তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়।
স্নেহলতা জানিয়েছেন, বুরলার মেডিক্যাল কলেজে তাঁর শরীরে ওমিক্রন সংক্রমণ ধরা পড়ে। রিপোর্ট আসার আগেই গত ২৭ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।
ওমিক্রনে রাজ্যে প্রথম মৃত্যুর ঘটনার পর তৎপর হয়ে উঠেছে সম্বলপুর জেলা প্রশাসন। মৃতের সংস্পর্শে কারা এসেছেন,তাদের খুঁজে বের করাই চ্যালেঞ্জ কর্তৃপক্ষের। সেই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের একটি দল অগলপুর বলাঙ্গির গ্রামেও গিয়েছেন। সেখানে কন্টাক্ট ট্রেসিং চলছে।
এর আগে রাজস্থানের উদয়পুরে এক ওমিক্রণ আক্রান্ত ৭২ বছরের বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক দেশে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কথা জানিয়েছে।
উল্লেখ্য,দেশে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ (Third Wave) বদলে সুনামি। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা একলক্ষ ছাড়াল। গতকালের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লক্ষ ১৭ হাজার ১০০ জন দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।দেশে শুক্রবার পর্যন্ত ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৭। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৩৭৭ জন। মহারাষ্ট্রে সবথেকে বেশি ৮৭৬ জন আক্রান্ত। দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬৫।