নয়া দিল্লি : দেশে ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্ক বেড়েই চলেছে। একের পর এক আক্রান্তের হদিশ মিলছে। এবার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৬ । আজই অন্ধ্রপ্রদেশে একজন, কর্ণাটকে তৃতীয় আক্রান্তের এবং চণ্ডীগড়ে এক সংক্রমিতের সন্ধান পাওয়া যায় । এর জেরে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৬।
ইতালি থেকে চণ্ডীগড়ে পৌঁছনো ২০ বছরের এক যুবকের শরীরে করোনার এই নয়া ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মেলে। জানা গেছে, গত ২২ নভেম্বর ওই যুবক ভারতে আসেন। পরীক্ষায় তাঁর দেহে কোভিড ১৯ সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। তিনি এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশেও এক ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। জানা গেছে, ওই ব্যক্তি আয়ারল্যান্ড থেকে ভারতে এসেছিলেন।
চণ্ডীগড়, কর্ণাটক ও অন্ধ্রে ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়ার পর দেশে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তর সংখ্যা বেড়ে হয় ৩৬। চণ্ডীগড়ে যে তরুণ ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি ফাইজার ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। চণ্ডীগড়ের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ওই তরুণকে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর জিনোম সিক্যুয়েন্সিং করা হয়। রিপোর্টে ওমিক্রন পজিটিভ আসে।
বিশাখাপত্তনমেও ওমিক্রন আক্রান্ত আয়ারল্যান্ডের নাগরিকের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। জানা গেছে, আয়ারল্যান্ড থেকে প্রথমে মুম্বই আসেন ওই ব্যক্তি। মুম্বইয়ে আরটিপিসিআর পরীক্ষায় করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। পরে বিশাখাপত্তনমে ফের পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অন্ধ্রপ্রদেশের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এ কথা জানিয়ে বলা হয়েছে, যদিও আক্রান্ত ব্যক্তির কোনও উপসর্গ নেই। জিনোম সিক্যুয়েন্সিংয়ে ওমিক্রন আক্রান্তের কথা জানা যায়। ১১ ডিসেম্বর তাঁর নেগেটিভ রিপোর্টও চলে আসে।
এছাড়া কর্ণাটকের এক ব্যক্তির শরীরেও মেলে নতুন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেছিলেন ৩৪ বছরেরে ওই ব্যক্তি। সরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। তাঁর প্রাথমিক সংস্পর্শে আসা ৫ জনকে এবং সেকেন্ডারি সংস্পর্শে আসা ১৫ জনের খোঁজ পাওয়া যায়। তাঁদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এমনটাই জানান কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুধাকর কে।