নয়া দিল্লি : এবার কেরলেও প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান মিলল। ওই ব্যক্তি গত ৬ ডিসেম্বর ইংল্যান্ড থেকে কোচি ফিরেছিলেন। এনিয়ে দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৮। আজ চণ্ডীগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র ও কেরলে একজন করে নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সন্ধান মেলে। এর মধ্যে চণ্ডীগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কেরলে প্রথম।


ইতালি থেকে চণ্ডীগড়ে পৌঁছনো ২০ বছরের এক যুবকের শরীরে করোনার এই নয়া ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মেলে। জানা যায়, গত ২২ নভেম্বর ওই যুবক ভারতে আসেন। পরীক্ষায় তাঁর দেহে কোভিড ১৯ সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। তিনি এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশেও এক ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রন সংক্রমণ ধরা পড়ে। জানা যায়, ওই ব্যক্তি আয়ারল্যান্ড থেকে ভারতে এসেছিলেন।


চণ্ডীগড়ে যে তরুণ ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি ফাইজার ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। চণ্ডীগড়ের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ওই তরুণকে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর জিনোম সিক্যুয়েন্সিং করা হয়েছিল। রিপোর্টে ওমিক্রন পজিটিভ আসে।


 





বিশাখাপত্তনমেও ওমিক্রন আক্রান্ত আয়ারল্যান্ডের নাগরিকের হদিশ পাওয়া যায়। জানা যায়, আয়ারল্যান্ড থেকে প্রথমে মুম্বই আসেন ওই ব্যক্তি। মুম্বইয়ে আরটিপিসিআর পরীক্ষায় করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। পরে বিশাখাপত্তনমে ফের পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অন্ধ্রপ্রদেশের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এ কথা জানিয়ে বলা হয়েছে, যদিও আক্রান্ত ব্যক্তির কোনও উপসর্গ নেই। জিনোম সিক্যুয়েন্সিংয়ে ওমিক্রন আক্রান্তের কথা জানা যায়। ১১ ডিসেম্বর তাঁর নেগেটিভ রিপোর্টও চলে আসে।


কর্ণাটকের এক ব্যক্তির শরীরেও মেলে নতুন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেছিলেন ৩৪ বছরেরে ওই ব্যক্তি। সরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। তাঁর প্রাথমিক সংস্পর্শে আসা ৫ জনকে এবং সেকেন্ডারি সংস্পর্শে আসা ১৫ জনের খোঁজ পাওয়া যায়। তাঁদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানান কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুধাকর কে।


এছাড়া মহারাষ্ট্রের নাগপুরেও নতুন ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্তের সন্ধান মেলে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দিল্লি হয়ে ফেরেন ৪০ বছরের ওই ব্যক্তি। গত ৬ ডিসেম্বর বিমানবন্দরেই তাঁকে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। আজ জেনোম টেস্টের ফলাফল আসে। এনিয়ে মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন আক্রান্ত ১৮।


কেরলের আক্রান্ত ব্যক্তি ইংল্যান্ড থেকে আবু ধাবি হয়ে ফেরেন। গত ৮ ডিসেম্বরই করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। তাঁর স্ত্রী ও মা-ও করোনায় আক্রান্ত। ওই বিমানে আসা ১৪৯ জনকেই শনাক্ত করা হয়েছে।