নয়াদিল্লি: ওমিক্রন সংক্রমণ ঘিরে উদ্বেগ বাড়লেও, সতর্কতা অবলম্বনে ঢিলেমি দেখা যাচ্ছে বলেই বিকেলেই সতর্ক করে কেন্দ্র। তার পর সন্ধ্যা গড়াতেই দেশে মোট ওমিক্রন সংক্রমিতের সংখ্যা ৩২-এ এসে ঠেকল। বিকেল পর্যন্ত সবমিলিয়ে ২৫ জন ওমিক্রন আক্রান্ত বলে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তার পর থেকে আরও সাত জনের ওমিক্রনে সংক্রমিত হওয়ার খবর মিলেছে। 


শুক্রবার সন্ধ্যার পর যে সাত জন ওমিক্রন আক্রান্তের খবর মিলেছে, তাঁরা প্রত্যেকেই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। এর মধ্যে তিন জন আবার খাস বাণিজ্যনগরী মুম্বইতে থাকেন। আক্রান্তদের মধ্যে তিন বছরের এক শিশুও রয়েছে। তাতে উদ্বেগ ধরা পড়েছে সর্বত্র। 


এ দিন বিকেলেই সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগরওয়াল। তিনি বলেন, ‘‘দেশে এখনও পর্যন্ত ২৫ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকের মধ্যেই মৃদু উপসর্গ দেখা গিয়েছে।’’


কোভিড সতর্কতা নিয়ে ঢিলেমি চোখে পড়ছে বলে এ দিন সতর্ক করেন নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিবাগের সদস্য ভিকে পালও। তিনি বলেন, ‘‘মাস্কের ব্যবহার কমে আসায় সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। গোটা বিশ্বে ওমিক্রন ঘিরে যা পরিস্থিতি, তা যথেষ্টই উদ্বেগজনক। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছি আমরা। মনে রাখতে হবে,  টিকা এবং মাস্ক, দু’টিই সমান জরুরি।’’


গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকাতেই প্রথম ওমিক্রন সংক্রমণ ধরা পড়ে। ভারতে এখনও পর্যন্ত ৯৩ জন বিদেশ থেকে আসা যাত্রীর শরীরে করোনা ধরা পড়েছে, এর মধ্যে ৮৩ জন ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে এসেছেন এবং বাকি ১৩ জন অন্য দেশ থেকে এসেছেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। 
একই সঙ্গে বলা হয়েছে, ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত যেখানে শুধু দু’টি দেশে ওমিক্রনের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল, এখন তা বেড়ে ৫৯ হয়েছে। সবমিলিয়ে ওমিক্রন ধরা পড়েছে ২ হাজার ৯৩৬ জনের শরীরে। ওমিক্রন সংক্রমণ বলে সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন আরও ৭৮ হাজার ৫৪ জন। তাঁদের জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর রিপোর্ট সামনে এলেই, সঠিক সংখ্যা জানা যাবে।