নয়া দিল্লি : "পাকিস্তানের ড্রোন সন্ত্রাস সৃষ্টি ও প্রাণহানির হুমকি দেওয়ার জন্য বিস্ফোরক বহন করে। কিন্তু, ভারতের ড্রোন করোনা যোদ্ধার ভূমিকা পালন করেছে। জীবনয়াদী ভ্যাকসিন ও ওষুধ বহন করছে।" এই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ। এটাই উভয় দেশের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী।
আকাশপথে প্রত্যন্ত এলাকায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিন ও জরুরি ওষুধ বহন করে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি ড্রোনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি করোনা ভ্যাকসিনের ৫০টি ভায়াল ড্রোনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সীমানা এলাকা মরহ এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হয়। সেই প্রসঙ্গের উল্লেখ করে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, বেঙ্গালুরুতে কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের উদ্যোগে "অক্টাকপ্টার" ড্রোন তৈরি করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের আওতায় একাজ হয়েছে। পাকিস্তান যেখানে শান্তির বিঘ্ন ঘটানোর জন্য ড্রোন ব্যবহার করছে, সেখানে আমাদের এই ড্রোন শান্তির বার্তাবাহক।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে টিকাকরণ অভিযান একটি গণ অভিযানে পরিণত হয়েছে। প্রত্যেক নাগরিক এতে যথাযথ অবদান রাখার চেষ্টা করছেন। আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফেও সিদ্ধান্তি নিই, প্রধানমন্ত্রীর 'হর ঘর দস্তক' অভিযানে অংশ নেব। প্রত্যন্ত এলাকায় ড্রোন পৌঁছে দেওয়া হবে যাতে প্রতিটি দরজায় গিয়ে কড়া নাড়া যায়, যাতে সকলে ভ্যাকসিন পান সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে ড্রোন তৈরির কথা ভাবা হয় মন্ত্রকের তরফে।
আরও পড়ুন ; দেশে প্রথম, মেঘালয়ের প্রত্যন্ত এলাকায় ওষুধ পৌঁছে দিল ড্রোন
সম্প্রতি দেশের প্রত্যন্ত এলাকা মেঘালয়ের পশ্চিম খাসির পাহাড়ি জেলার একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ওষুধ পৌঁছে দেয় একটি ড্রোন। দেশে এই উদ্যোগ প্রথম। জেলা সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমা জানিয়েছিলেন।