হায়দরাবাদ : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে লন্ডভন্ড ভারতবর্ষ। মারণ ভাইরাসের জেরে সংক্রমিত, মৃতের সংখ্যা রোজই বাড়ছে দেশে। এর মাঝে সকলেই খুঁজছেন কোভিড থেকে বাঁচার উপায়। হাসপাতালের বেড, ওষুধ, অক্সিজেনের যেমন টানাটানি তেমনই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাবিহীন বিভিন্ন বিষয়েরও রমরমা চলছে গোটা দেশে। এমনই এক ছবি দেখা গিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে। যেখানে স্থানীয় আর্য়ুবেদিক ওষুধে করোনা সেরে যাবে বলে দাবি করা এক জনৈকের থেকে ওষুধ নিতে লাইন দিলেন একাধিক মানুষ। যেখানে শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলার কোনও ঠিকঠিকানা রইল না।
অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোরের কৃষ্ণপতনম এক আয়ুর্বেদিক ওষুধের দোকান দাবি করেছিল, তাদের তৈরি ওষুধ খেলে সেরে যাবে করোনা। আনন্দিয়া নামের জনৈক একজনের সোশ্যাল মিডিয়ায় করা দাবি হঠাৎই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপর থেকেই ওই আয়ুর্বেদিক ওষুধের দোকানের সামনে রোজই ভিড় করতে শুরু করেন স্থানীয়রা। বিষয়টা এমন পর্যায় পৌঁছে যায়, যে আশেপাশের এলাকা থেকেও লোকেরা ভিড় করতে শুরু করেন। দৈনিক যে লাইনে শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলার কোনও বালাই থাকে না। মারণ ভাইরাসের থেকে বাঁচার আশায় এসে উল্টে হয়তো করোনা আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছেন, এই আশঙ্কাও তৈরি হতে থাকে।
বিনামূল্যে বিতরণ করা যে ওষুধ নিতে রোজই ভিড় জমান একাধিক মানুষ। ভিড় হাজির একজন দাবি করেন, এমনিতেই অক্সিজেন, হাসপাতালের বেডের জন্য চারিদিকে হাহাকার। একটি ওষুধ খেয়ে যদি করোনা সেরে যায়, তাহলে সেটা প্রয়োগ করে দেখতে ক্ষতি কী! যদিও আয়ুর্বেদিক ওষুধ খেলে করোনা সারে এমন কোনও বৈজ্ঞানিক তথ্য এখনও পর্যন্ত নেই। এদিকে এভাবে ওষুধের দাবি ও বিতরণের খবর স্থানীয় প্রশাসনের কাছে পৌঁছতেই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তারা। অন্ধ্রপ্রদেশের কিছু স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, এই খবর সামনে আসার পরই পুলিশের পক্ষ থেকে ওষুধ বিতরণ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। যে ওষুধটিকে ঘিরে দাবি, সেটি আয়ুষ আয়ুর্বেদের পক্ষ থেকে পরীক্ষা করে দেখা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
(অন্ধ্রপ্রদেশের স্থানীয় এক আয়ুর্বেদ চিকিৎসক একটি ওষুধ নিয়ে এই দাবি করেছেন। আয়ুর্বেদিক কোনও ওষুধ খেলে করোনা সারে এমন কোনও বৈজ্ঞানিক তথ্য এখনও পর্যন্ত নেই। এবিপি লাইভ বাংলা এই দাবি প্রসঙ্গে কোনও মতামত ব্যক্তও করে না।)