নয়াদিল্লি : পুজোর আগে থেকেই জ্বালানির দাম বেড়েই চলেছে।  তার প্রভাব পড়ছে বাজারেও। করোনা পরিস্থিতিতে যখন দেশের আর্থিক অবস্থা বেসামাল, তখন লাগাতার জ্বালানির দাম বেড়ে চলায় মাথায় হাত মধ্যবিত্তের।  জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কড়া সমালোচনা করে ট্যুইট করেছেন রাহুল গাঁধী। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, সবার বিনাশ মূল্যবৃদ্ধির বিকাশ। কর-এর তোলাবাজি চলছে।  




কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার ট্যুইট করে বলেন, মোদি সরকার যদি কর না বাড়াত, তাহলে আজ পেট্রোল ৬৬ টাকা ও ডিজেল হত ৫৫ টাকা। কেন্দ্রের কর লুটের এ এক নতুন কীর্তি। পরিসংখ্যান বলছে, অপরিশোধিত তেলের দাম যখন নিম্নমুখী ছিল, তখন কর বেড়েছে। যার সুবিধা দেশবাসী পায়নি।


 






উত্‍সবের মরসুমে লাগাতার জ্বালানির দাম বাড়িয়েই চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি।  ফের নতুন রেকর্ড গড়ল পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। আজ কলকাতায় পেট্রোলের দাম বাড়ল লিটারপ্রতি ৩৩ পয়সা, ডিজেলের দাম লিটারে বেড়েছে ৩৫ পয়সা।  এর ফলে কলকাতায় পেট্রোলের দাম হল লিটারে ১০৬ টাকা ৪৩ পয়সা। অন্যদিকে সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছে ডিজেল। কলকাতায় ডিজেলের দাম হল লিটারে ৯৭ টাকা ৬৮ পয়সা।  


পুজোর আগে থেকেই জ্বালানির দাম বেড়েই চলেছে।  তার প্রভাব পড়ছে বাজারেও। করোনা পরিস্থিতিতে যখন দেশের আর্থিক অবস্থা বেসামাল, তখন লাগাতার জ্বালানির দাম বেড়ে চলায় মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। উত্‍সবের মরশুমে ভোজ্য তেল থেকে শাকসব্জি, সব কিছুর দামেই যেন আগুন লেগে গিয়েছে। তারওপর পেট্রোল-ডিজেলের দামও যেভাবে বাড়ছে, তাতে মধ্যবিত্তের দুর্ভোগ আর কত বাড়বে, সেটাই এখন প্রধান চিন্তার বিষয়।