সন্দীপ সরকার ও আশাবুল হোসেন, কলকাতা : ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে, সম্প্রতি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করেছে তৃণমূল। স্টিয়ারিং কমিটির অন্যতম সদস্য, যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু সাহা আক্রান্ত হলেন। তৃণমূলের দাবি, দশমীর রাতে, বাসুদেবপুর এলাকায় নিজের বাড়ির সামনে পুজো মণ্ডপে ছিলেন শান্তনু। আট-দশজন দুষ্কৃতী মুখ ঢেকে বেধড়ক মারধর করে দলীয় নেতাকে।
আগরতলার জিবি পন্থ হাসপাতালে ভর্তি ওই তৃণমূল নেতা। তৃণমূলের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি নিতেও টালবাহানা করা হয়। ত্রিপুরার তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিকের অভিযোগ, 'ওরা বলে কেউ বিরোধী দল করতে পারবে না, অচিরে চরম মূল্য দিতে হবে বিজেপিকে, হাসপাতালে ভর্তি নিচ্ছিল না না, রিলিজ করে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল '
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলার পর থেকেই উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে বারবার আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল। পুজোর মধ্যে দলীয় নেতা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ' শান্তনুরা খুব ভাল কাজ করছিল, বিজেপি এমন ভয় পেয়েছে যে অন্ধকারে এসে হামলা চালিয়েছে, পুজোর পর দেখব কী হয়'।৪ঠা নভেম্বর পর্যন্ত, ত্রিপুরায় সমস্ত বিক্ষোভ-সমাবেশ-মিছিল বন্ধ বলে ঘোষণা করেছে বিপ্লব দেব সরকার। এই প্রেক্ষাপটে, উৎসবের মুখে যুব তৃণমূল নেতা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ত্রিপুরায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল।
গত ৭ অক্টোবর ত্রিপুরার খোয়াই থানার তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন কুণাল ঘোষ। চিঠিতে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক লেখেন, নোটিসে সাড়া দিয়ে দেখা করা সত্ত্বেও তাঁর বয়ান লিপিবদ্ধ করেননি তদন্তকারী অফিসার, সিডিও জমা নিতে চাননি। বয়ান রেকর্ড ও সিডি গ্রহণ করা না হলে তদন্ত পক্ষপাতদুষ্ট বলে জানিয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে খোয়াই থানার তদন্তকারী অফিসারকে চিঠিতে জানান কুণাল ঘোষ। এর আগে ত্রিপুরায় দলের ১৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে গত ৮ অগাস্ট খোয়াই থানায় ধর্না দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, কুণাল ঘোষরা। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতেই কুণাল ঘোষকে নোটিস পাঠায় খোয়াই থানা। ২১ সেপ্টেম্বর থানায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন কুণাল ঘোষ।