নয়াদিল্লি:  বেশ কিছু রাজ্যে কোনও কোনও পেট্রোল পাম্পে (Petrol Pump) না কি জ্বালানি মিলছে না। এমন খবরের পর প্রশ্ন উঠেছিল দেশে জ্বালানির জোগান নিয়ে। সেই আশঙ্কা পুরোপুরি নাকচ করে দেশে জ্বালানির নিরবিচ্ছিন্ন জোগান নিয়ে আশ্বস্ত করল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে।


বেড়়েছে চাহিদা:
পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের (Ministry of Petroleum & Natural Gas) তরফে জানানো হয়েছে, দেশে জ্বালানির চাহিদা হঠাৎ করেই বেড়েছে। সেই কারণেই খুব স্থানীয় ভাবে  সাময়িক লজিস্টিক সমস্যা (Temporary logistic issues) তৈরি হয়েছে। সেই কারণেই এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থার পেট্রোল পাম্পগুলিতে চাপ বেড়েছে। কারণ ক্ষতি এড়াতে বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা তাদের কাজ বেশ কিছুটা গুটিয়ে এনেছে। ইন্ডিয়ান অয়েল, বারত পেট্রোলিয়ামের মতো সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থাগুলি ক্ষতি স্বীকার করেও পেট্রোল-ডিজেল বিক্রি করছে। দাম বাড়াছে না জ্বালানির (Fuel)। যার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না বেসরকারি সংস্থাগুলি। মন্ত্রকের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে, সরকারি সংস্থাগুলির পেট্রোল পাম্পে হঠাৎ করেই চাহিদা বেড়েছে। তার ফলে সেখানে গ্রাহকদের অপেক্ষা করার সময় বেড়েছে। অনেকসময় দেরিও হয়েছে। যার ফলে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে যে জোগানে টান পড়েছে। যা সত্যি নয়।


হঠাৎ কেন বাড়ছে চাহিদা?
এই মরসুমে চাষের কাজ শুরু হয়েছে। যার ফলে জ্বালানির চাহিদা বাড়ছে। সেই কারণেই সরকারি সংস্থার পেট্রোল পাম্পে ভিড় জমছে বলে জানানো হয়েছে। 


কী কারণে জল্পনা:
পিটিআই-এর একটি সূত্রে খবর, হঠাৎ করে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রাজস্থান (Rajasthan) ও মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) HPCL এবং BPCL-এর একাধিক পাম্পে টান পড়েছে জ্বালানির। HPCL-একটি টুইটে জানিয়েছে মে মাসেই রাজস্থানে পেট্রোলের চাহিদা ৪১ শতাংশ বেড়েছিল। ডিজেলের চাহিদা বেড়েছিল ৩২ শতাংশ। মধ্যপ্রদেশে পেট্রোলের চাহিদা বেড়েছিল ৪০ শতাংশ, ডিজেলের চাহিদা বেড়েছিল ৪৬ শতাংশ।


আরও পড়ুন: শরদ পাওয়ার রাজি না হওয়ায় বিকল্প হিসেবে কাদের নাম প্রস্তাব মমতার ?