নয়াদিল্লি : আফগানিস্তান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে হাজির আছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Home Minister Amit Shah), বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (External Affairs Minister Dr. S. Jaishankar) , জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (National Security Adviser Ajit Doval )। তালিবান সরকার গঠনের পর কী হবে ভারতের অবস্থান? কীভাবে আফগানিস্তানে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করা হবে? এই নিয়েই অমিত শাহ, জয়শঙ্কর, অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)।
আফগানিস্তানে তালিবানের পুনরুত্থানে সিঁদুরে মেঘ দেখছে নয়াদিল্লি। দুশ্চিন্তা বাড়ছে কাশ্মীর নিয়ে! এই আশঙ্কা যে নেহাতই অমূলক নয়, তা স্পষ্ট সাম্প্রতিক গোয়েন্দা রিপোর্টে। সূত্রের খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বসে জঙ্গিরা যে নাশকতার ছক আঁটছে, সে সম্পর্কে গত ১৫ দিনে, অন্তত ১০টি সতর্কবার্তা গোয়েন্দা-রা দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। গোয়েন্দা সূত্রে যে খবর মিলেছে, তা মারাত্মক! আফগানিস্তান পুরোপুরি তালিবানের কব্জায় চলে যাওয়ার পরে, লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন, জঙ্গিরা যে রীতিমতো পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের।
আরও পড়ুন : পঞ্জশির দখলের মরিয়া চেষ্টা তালিবানের, তীব্র হয়েছে সংঘর্ষ, 'অন্তত ৩৫০ 'তালিবান নিহত'
সূত্রের দাবি, আফগানিস্তানে জঙ্গিদের নতুন একটি নেটওয়ার্কও তৈরি হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে, তেহরিক-ই-তালিবান আমারত। জানা গেছে, এই জঙ্গি সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ থাকবে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের হাতে। তাকে সাহায্য করবে আরেক জঙ্গি নেতা মহম্মদ ইব্রাহিম আজহার। পাশাপাশি লস্কর-ই-তৈবা ও জৈশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর মদতপুষ্ট হাক্কানি জঙ্গি গোষ্ঠী। কাশ্মীরে নাশকতায় মদত দিতে, এই নতুন গোষ্ঠীর জন্য তহবিল সংগ্রহ করবে জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সইদ। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, গত সপ্তাহে কান্দাহারে তালিবানের রাজনৈতিক শাখার প্রধান আবদুল গনি বরাদরের সঙ্গে বৈঠকও করেছে ভারতকে একাধিকবার রক্তাক্ত করা মাসুদ আজহার।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক হয় তালিবানের প্রতিনিধি শের মহম্মদ আব্বাসের।