বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: ফোন হ্যাকিং ও পেগাসাসকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে আজ দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে হাই ভোল্টেজ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। 


প্রায় দু’বছর পর সোমবার বিকেলে দিল্লিতে পা রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখলের পর তাঁর এটাই প্রথম দিল্লি সফর।


পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি থেকে কেন্দ্রের ৩ কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সরগরম রাজধানীর রাজনীতি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফর নিঃসন্দেহে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।


এর আগে, এদিন দুপুরে কমলনাথ ও আনন্দ শর্মার সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি,  প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে এদিন ২ কংগ্রেস নেতার সঙ্গেও বৈঠক করেন মমতা। 


সূত্রের খবর, জিএসটি-সহ রাজ্যের বকেয়া নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। আলোচনায় উঠতে পারে ভ্যাকসিনের প্রসঙ্গও। 


সূত্রের খবর, বৈঠকে রাজ্যের নানা দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা। জিএসটি বাবদ ক্ষতিপূরণের টাকা, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের অভাব, পেগাসাস বিতর্ক, পেট্রোল ডিজেলের দামবৃদ্ধি, এই সব বিষয় নিতে আলোচনা হতে পারে। 


মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরে আজ সন্ধ্যায় অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে মমতার। 


আগামীকাল শরদ পাওয়ার, সঞ্জয় রাউতের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি, এনসিপি, শিবসেনার সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকের সম্ভাবনা তৃণমূলনেত্রীর।


কাল বিকেল ৪.৩০টায় সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগে, কাল কাল দুপুর ১টায় সুখেন্দু শেখরের বাসভবনে সংসদীয় দলের বৈঠকে থাকবেন মমতা। 


এরপর কাল দুপুর ২.৩০টায় সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর। 


তৃণমূল সূত্রে আরও খবর, এই সফরে বিজেপি বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বৈঠকের কথা থাকলেও, করোনা আবহে তা নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বৈঠক করতে পারেন তৃণমূলনেত্রী। 


মমতার দিল্লি সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, এটা আগেও করেছেন, কলকাতায় মিটিং করেছে, তখনও নম্বর কমেছে। এবারও সফল হবে না।